সরকার ও প্রশাসনের অদ্ভুত অচলাবস্থায় বাড়ছে গুঞ্জন!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার জনগণের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ, জনগণের নানা ধরনের সমস্যা নিরসনে কতটা আন্তরিক, তা পরিলক্ষিত হয় সরকার ও প্রশাসনের সার্বিক কাজকর্মের উপর।বিভিন্ন বিষয়ে সরকার ও প্রশাসন কতটা গতিশীল তার উপরই নির্ভর করে একটি জনমুখী সরকারের সার্বিক সাফল্যের মাপকাঠি।কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার এবং ওই সরকারের প্রশাসন যদি স্থবির হয়ে পড়ে, তখন সবকিছুই থমকে যায়। যাবতীয় কাজকর্ম এবং উন্নয়নের গতি স্তব্ধ হয়ে যায়। জনগণের দুঃখ দুর্দশা বাড়তে থাকে।
বর্তমান সময়ে রাজ্য প্রশাসনে এমনই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।তিন- চারটি দপ্তর বাদ দিলে, অধিকাংশ দপ্তরের অস্তিত্ব নিয়েও বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।একই অবস্থা রাজ্য মন্ত্রিসভার অধিকাংশ মন্ত্রীর ক্ষেত্রেও।দুই- তিনজন মন্ত্রী ছাড়া, অন্যদের মহাকরণে পাওয়া চাঁদ হাতে পাওয়ার মতোই।এদের মধ্যে দুই-তিনজন মন্ত্রীর চেম্বারে (মহাকরেণ) তো মাসের পঁচিশ দিনই তালা ঝুলে থাকে।
সব থেকে বিস্ময়কর ঘটনা হলো, গত প্রায় ছয়মাস ধরে সরকার ও প্রশাসন একটা অদ্ভুত ধরনের রহস্যজনক নীরাবতা পালন করে চলেছে। বিষয়টি অনেকটা ‘বোবার কোনও শত্রু নেই’ গোছের প্রবাদের মতো।কোনও কিছুতেই যেন সরকার ও প্রশাসনের হেলদোল নেই। অনেকটা ভ্রূক্ষেপহীন ভূমিকা ও আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা বর্তমান সরকারের কোনও কৌশল কিনা?সেটা অবশ্য জানা নেই।
পূর্বে জনগণের সমস্যা নিয়ে রাজ্যের কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে, অথবা কোথাও কোনও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, বঞ্চনার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে পরদিনই পেপার কার্টিং হতো। সেই পেপার কাটিং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হতো। প্রকাশিত খবর সম্পর্কে তদন্ত হতো। সত্য অসত্য যাচাই করা হতো। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হতো। সরকার ও প্রশাসনের তরফ থেকে প্রকাশিত খবর সম্পর্কে বিবৃতি, স্পষ্টীকরণ দেওয়া হতো।খবর অসত্য হলে তার প্রতিবাদ জানানো হতো। প্রকাশিত খবর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো।কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, সেটাও জনগণকে জানানো হতো। কিন্তু এখন এইসব কিছুই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সরকার ও প্রশাসন এক প্রকার নীরব! প্রশ্ন হচ্ছে এই নীরবতা কেন? তাহলে সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠছে, সবই কি সত্য? নীরবতা কিন্তু একপ্রকার সম্মতির লক্ষণ। এটা সকলেই জানে। তবে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে সরকার ও প্রশাসন। তার বদলে ভয়, ভীতি, হুমকি এবং চাপের পথে হাঁটতে চাইছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে। নানাভাবে চাপ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার ঝোঁক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ঢাকি সহ বিসর্জন হতে বেশি সময় লাগবে না বলে মনে করছে সচেতন মহল। দলের সাথে সরকারের সমন্বয়হীনতা নিয়েও বাড়ছে গুঞ্জন।

Dainik Digital

Recent Posts

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

13 hours ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

13 hours ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

2 days ago

রাজধানীতে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ঠ মানুষ!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…

3 days ago

ইন্ডিয়ান বুকে রাজ্যের মেয়ে ঝুমা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…

3 days ago

সুশাসনে আইনশৃঙ্খলা!

রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…

3 days ago