অনলাইন প্রতিনিধি :-সিপিএম সন্ত্রাসীদের আক্রমণে যে কংগ্রেসীরা রক্তাক্ত হয়েছিল তাদের কাটা দাগ এখনও। শুকায়নি।এরপরও সিপিএমের সঙ্গে সেই কংগ্রেসীরাই হাত মিলিয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে। এরা ইন্ডিয়া জোটের নাম দিয়ে ময়দানে লড়াই করতে নামলেও নেই তাদের কোনও ইস্যু। শুধু মিথ্যে কথা এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচার ছাড়া তাদের দেশের অগ্রগতি নিয়ে কোনও কথা নেই।তাদের চাই শুধু ক্ষমতা।
সোমবার দুপুরে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মণের সমর্থনে খোয়াইয়ের রামচন্দ্রঘাট বিধানসভার অন্তর্গত বাইজাল বাড়িতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক এভাবেই তীব্র সমালোচনায় বিঁধলেন বিরোধীদের।সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে- গিয়ে বলেন, এই নির্বাচন পুর পরিষদ কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েত বা বিধানসভার নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন নতুন ভারত তৈরির নির্বাচন।তিনি বলেন, ভারতকে শক্তিশালী করলে এ রাজ্যের পাশাপাশি এই বাইজালবাড়িও শক্তিশালী হবে।সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে মুখমন্ত্রী বলেন, দিল্লীর পার্লামেন্ট ভবনে আক্রমণ, মুম্বাইয়ে আক্রমণ, ভারতীয় সেনা জওয়ানের মস্তক কেটে নিয়ে যাওয়া এই সমস্ত অপরাধগুলি বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত হয়েছিল।২০১৪ সালের পর থেকে এই সব ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ হয় দেশের শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী মোদির দাপটে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে শান্তির বাতাবরণ তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোট ১২টি শান্তি চুক্তি করেছেন। যার সুফল পাচ্ছেন ভারত-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি। রাজ্যের জল নেই, বিরোধীদের এই অপপ্রচার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জল জীবন মিশনে তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৬ শতাংশ মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এ রাজ্যে। বিগত ৩৫ বছর ধরে কেন রাজ্যের মাত্র তিন শতাংশ মানুষ পানীয় জল পেত সেই প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী ছুড়ে দেন বিরোধীদের উপর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের সরকার শক্তিশালী ও মজবুত হলে উন্নয়নের রথ থেমে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনি ইস্তাহারে গোটা দেশের মধ্যে চারটি বুলেট ট্রেন চালানোর কথা বলা হয়েছে।প্রথম ট্রেনটি আমেদাবাদ থেকে মুম্বাই আসবে।বাকি তিনটি ট্রেন চালানো হবে উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব ভারতে।বন্দে ভারত ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। জনজাতিদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত ৩৫ বছর ধরে উন্নয়নের নামে জনজাতিদের শুধুমাত্র ভোট বাক্সে পরিণত করে রাখা হয়েছিল।রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়।সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ বলেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ প্রধানমন্ত্রীর এই মহামন্ত্র কতটা কাজের তা রাজ্যের এবং দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, বিগত সরকারটা রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নের কথা বলে সর্বস্ব চুষে খেয়েছে। জনজাতিদের প্রকৃত উন্নয়ন এক চুলও হয়নি। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে শুরু করে এখন অবধি রাজ্যের দুটি আঞ্চলিক দলকে একসাথে নিয়ে কাজ করছে সরকার। সরকার চিন্তা করছে সার্বিক বিকাশ ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের প্রধানমন্ত্রীও চাইছেন সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করার জন্য। সমাবেশে ছিলেন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, বিধায়িকা স্বপ্না দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক প্রশান্ত দেববর্মা, এমডিসি সোহেল দেববর্মা, রামচন্দ্রঘাট মণ্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা সহ অন্যরা।
এদিন বাইজালবাড়িতে সমাবেশ শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা তেলিয়ামুড়ায় রোডশোতে অংশ নেন।তার সাথে রোড শোতে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যরা। রোডশোকে কেন্দ্র করে তেলিয়ামুড়ায় জনপ্লাবন দেখা দেয়।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আরও সংখ্যা বাড়িয়ে,তিনশোর বেশি আসন নিয়ে বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার পরে অনেক রাজনৈতিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যসরকার হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় রোগীর দুর্ভোগ কমাতে সচেষ্ট হয়েছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এই রাজ্যে যে কৃষ্টি সংস্কৃতি ঐতিহ্য ছিল, তা দীর্ঘ কমিউনিস্ট শাসনকালে হারিয়ে গিয়েছিল।…
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…