সর্বশিক্ষা(সমগ্রশিক্ষা)শিক্ষক দের ভবিষ্যৎ কী ফের কালের অন্তরালে গেল? ত্রিপুরা হাইকোর্ট দু-দুবার সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের নিয়মিতকরণের জন্য রায় প্রদান করলেও রাজ্য সরকার সর্বশিক্ষা প্রকল্পে নিয়োজিত এ রাজ্যের কয়েক হাজার শিক্ষককে নিয়মিত তো করেইনি,উল্টো এখন সর্বোচ্চ আদালতে মামলা নিয়ে গেছে রাজ্য সরকার।কতিপয় অতি উৎসাহী আমলার পরামর্শেই রাজ্য সরকার সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের নিয়মিত না করে সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটিকে টেনে নিয়ে গেছে।এতে কতিপয় অত্যুৎসাহী আমলাদেরও কিছু এসে যাবে না, রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদেরও কিছু এসে যাবে না-আদতে সর্বশিক্ষা শিক্ষকরা ফের ঝুলে পড়লো এই মামলার দৌলতে। কবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার যবনিকা টানবে এর দিকে অপেক্ষা ছাড়া আর কোনও গত্যন্তর নেই শিক্ষকদের।এরই ফাঁকে আরও প্রচুর সংখ্যক শিক্ষক অবসরে যাবেন।যারা কিছুই পাবেন না।এতদিন চাকরি করেও কানাকড়ি পয়সা, আর্থিক সুবিধা এখনও জুটেনি সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের।সুপ্রিম কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত কি হবে বলা মুশকিল।এটাই হচ্ছে বাস্তব পরিস্থিতি।২০০৩-২০০৪ সাল থেকে এ রাজ্যে সর্বশিক্ষা প্রকল্পের যাত্রা শুরু।পরবর্তীতে ওই প্রকল্পে শিক্ষক,অশিক্ষক বহু কর্মী নিয়োগ করা হয়।যারা এখন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ।অর্থাৎ চাকরির কোনও নিশ্চয়তা নেই,গ্যারান্টি নেই।ফলে আর্থিক সুবিধা নেই,দিন আনি দিন খাইয়ের মতো মাস গেলে বেতন।আর কিছুই নেই।এই সময়ের মধ্যে বহু শিক্ষক, অশিক্ষক অবসরে গেছেন।কানাকড়ি কিছুই জুটেনি।
২০১৪ সালে তদানীন্তন বাম সরকারের সময়েই হাইকোর্টি রিট পিটিশন হয় সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের নিয়মিতকরণের দাবিতে।বাম আমলে সর্বশিক্ষা প্রকল্পে শিক্ষক নিয়োগ হলেও বামেরাও সর্বশিক্ষা প্রকল্পে শিক্ষকদের নিয়মিত করেনি।যদিও কিছু কিছু সুবিধা প্রদান করে বাম সরকার।যেমন ডিএ প্রদান, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান, মেডিকেল লিভ,স্পেশাল লিভ,মহিলাদের মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি,পুরুষ কর্মীদের পেটারনিটি লিভ, অ্যানুয়েল রেকর্ড বুক চালু ইত্যাদি। ২০১৮ সালে বিজেপি সরকারের গঠনের আগে তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের ‘ন্যায়’ দেবে নয়া সরকার। আজকের দিনে বিজেপি সরকারের আমলে সর্বশিক্ষা প্রকল্পে নিয়োজিত শিক্ষকরা ‘ন্যায়’ পেয়েছেন ঠিকই রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে।
সর্বশিক্ষা প্রকল্প বর্তমানে নাম পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে সমগ্র শিক্ষা।শিক্ষা দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘উইং’ হচ্ছে সমগ্র শিক্ষা।এতে ফান্ডের অভাব নেই।কাগজ থেকে গাড়ি,সূচ সুতো থেকে ট্রেনিং, ট্যাব থেকে স্কুলব্যাগ বিতরণ। গণহারে মেশিনপত্র কেনা, জিনিসপত্র কেনা সমস্ত কিছু সমগ্র শিক্ষার ফান্ড থেকেই হচ্ছে।কিন্তু শিক্ষকদের নিয়মিতকরণের বেলায় ফান্ড নেই।একশ্রেণীর আমলা, আধিকারিকের নেতিবাচক মানসিকতা বরাবরই ছিল সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের নিয়ে। সর্বোপরি বাম- বিজেপি রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপেক্ষার শিকার হয়েছে সর্বশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষকরা। ফলে ২০২১ সালে একবার হাইকোর্ট রায় দিলেও সে সময়ও বিজেপি সরকার সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিত করেনি। বরং একটি ‘স্কিম’ বানিয়ে শিক্ষকদের টুপি পরিয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ফের শিক্ষকরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে গত জুলাই মাসে ফের হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে সর্বশিক্ষা প্রকল্পে শিক্ষকদের নিয়মিতকরণের জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু এবারও রাজ্য সরকার বিমুখ করলো শিক্ষকদের।হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
একটি সরকারকে মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে জনকল্যাণে কাজ করার জন্য।সর্বশিক্ষা প্রকল্পে নিয়োজিত যে সমস্ত শিক্ষকরা গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ রাজ্যের গ্রাম-পাহাড় সমতলের স্কুলে নিয়মিত শিক্ষকদের সাথে পাল্লা দিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শিক্ষকতা করছেন তারা এ রাজ্যেরই সন্তান। তাদের সাথে কী বিরোধ হতে পারে রাজ্য সরকারের?কেন বারবার নিয়মিত করার জন্য হাইকোর্ট রায় দিলেও রাজ্য সরকার তাদের নিয়মিত করছে না?একশ্রেণীর বহি:রাজ্যের আমলা যারা দপ্তরের শীর্ষে বসে সমস্ত মধু চেটে পুটে খেয়ে নিচ্ছেন যারা শিক্ষা দপ্তরে একের পর এক এনজিওকে ডেকে এনে কমিশন বাণিজ্যে লিপ্ত, রাজ্য সরকার কী তাদের পরামর্শে কাজ করছে?২০২১ সালেও শিক্ষা দপ্তরের সর্বোচ্চ এক আমলার কথায় রাজ্য সরকার সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের নিয়মিত না করে স্কিম বানিয়ে তাদের টুপি পরায়।এবার দপ্তরের আরেক শীর্ষ আমলার পরামর্শে এবং কলকাঠিতে রাজ্য সরকার যেভাবে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যের সন্তানদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি, স্বপ্নকে যেভাবে পদদলিত করেছে তা এ রাজ্যের ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। আর এর সাথে জড়িয়ে থাকবে রাজ্য সরকারেরও নাম। সর্বশিক্ষা শিক্ষকদের স্বপ্নকে এভাবে ধুলিসাৎ করার কারিগরদের আগামীতে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…