সস্তায় জেনেরিক মেডিসিনের পর্যাপ্ত সুবিধা নেই হাসপাতালে!!

 সস্তায় জেনেরিক মেডিসিনের পর্যাপ্ত সুবিধা নেই হাসপাতালে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-সস্তায় জেনেরিক মেডিসিন তথা জনঔষুধির সুবিধা হাসপাতালগুলিতে রোগীর পর্যাপ্ত না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।ভারত সরকার রোগীরা যাতে সস্তায় জনঔষধির ঔষধ(জেনেরিক মেডিসিন)হাসপাতালগুলিতে সব সময় পর্যাপ্তভাবেই পান সেই লক্ষ্য নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে বহুদিন আগেই। জনঔষধির ঔষধ রোগীরা যাতে রোগ নিরাময়ে হাসপাতাল কাউন্টার থেকে নিতে পারেন সেই লক্ষ্যে দেশের তথা রাজ্যগুলির সব হাসপাতালে কাউন্টার চালু করার উপরও জোর দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রোগীদের রোগ নিরাময়ে জনঔষধির ঔষধ নেওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদানে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বহুদিন ধরে প্রচার চালানো হচ্ছে।বিস্ময় ও পরিতাপের ব্যাপার হলো,ত্রিপুরা রাজ্যে সেইভাবে এখনও জনঔষধির ঔষধ কাউন্টার সব হাসপাতালে চালু হয়নি। রাজ্যে মার্কফেডের পরিচালনাধীন ১০টি হাসপাতালে ১০টি কাউন্টার রয়েছে।কিন্তু কাউন্টারগুলি আগে কোনওটা ২৪ ঘন্টা আবার কোনওটা ১২ ঘন্টা চালু থাকলেও গত দু’বছর ধরে চালু রাখার সময় কাটছাঁট করে দেওয়া হয়েছে। তাতে রোগীরা চিকিৎসকের প্রেসক্রিশনে জনঔষধির ঔষধ নিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন।কাউন্টার বন্ধ থাকায় দোকান থেকে বেশি দামি ওষুধ নিতে হচ্ছে।তাতে গরিব নিম্ন ও কম আয়ী মানুষ বাইরের দোকান থেকে ঔষধ কিনতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।জিবি হলো রাজ্যের প্রধান সরকারী হাসপাতাল। এই হাসপাতালে আগে জনঔষধির ঔষধ কাউন্টার ২৪ ঘন্টা চালু থাকতো।কিন্তু গত দু’বছর ধরে হাসপাতালের বহির্বিভাগ তথা আউটডোর চালু থাকার সময় পর্যন্ত কাউন্টার চালু রাখা হচ্ছে। তার পর বন্ধ থাকছে কাউন্টার।সরকারী ছুটির দিনও কাউন্টার বন্ধ থাকছে। আইজিএম হাসপাতাল হলো রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারী হাসপাতাল।আগে সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাউন্টার চালু থাকতো। এখন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত কাউন্টার চালু রাখা হচ্ছে। বহির্বিভাগ চালুর সময় পর্যন্ত জনঔষধির ঔষধ কাউন্টার চালু রাখায় রোগীদের ঔষধ নিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। টিএমসি হাসপাতালেও বহির্বিভাগ চালু’র সময় পর্যন্ত কাউন্টার চালু থাকছে।অন্য হাসপাতালের চালু কাউন্টারগুলিও একই সময় পর্যন্ত চালু থাকছে।রোগীদের দাবি,২৪ ঘন্টা কাউন্টার চালু রাখা হোক।কাউন্টার গুলিতে ঔষধের স্বল্পতায় এ রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন।২০০ আইটেমের ঔষধ কোন কোন কাউন্টারে এখন রয়েছে। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী যেসব ঔষধ প্রয়োজন রোগীরা সেই সব ঔষধ কাউন্টারে গিয়ে পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।সব চিকিৎসক আবার জনঔষধির ঔষধ প্রেসক্রিপশনে লিখছেন না বলেও অভিযোগ।এদিকে জিবি, আইজিএম ইত্যাদি কাউন্টারে কর্মরত যারা রয়েছেন তাদের বেতন খুব স্বল্প দেওয়ার এত কম বেতনে কাউন্টারে চাকরি করতে তারা অনিচ্ছুক।কাউন্টারের কর্মীদের স্থির বেতনে নিয়োগ করে রাখা হয়েছে।তাদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি করাও দাবি জানান। মার্কফেডের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দেবও জানান, কর্মচারীরা খুব কম বেতন পাচ্ছেন।বেতন বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সুপ্রিয় মল্লিক জানান, সারা রাজ্যে সব হাসপাতালেই সস্তা জনঔষধির ঔষধ কাউন্টার চালু রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জিবি,আইজিএম সহ অন্যান্য কাউন্টার চালু রাখার আগের মতো সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান ডা. মল্লিক।ঔষধের আইটেমও বাড়ানো হবে বলে জানান।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.