অনলাইন প্রতিনিধি :-কৃষকদের
আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বছরে দু’বার কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে।কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র।
শনিবার জোলাইবাড়ি মোটরস্ট্যান্ডে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের সূচনা করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা।আমাদের মূল উদ্দেশ্য আত্মনির্ভর ত্রিপুরা।
গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামোর উন্নয়ন, গরিব মানুষ ও কৃষকের কল্যাণ না হলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে না।কারণ কৃষি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য,জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জিলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি বিভীষণ দাস।
অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ আরও বলেন,দেশ ও রাজ্যের অর্থনীতির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে কিষান সম্মাননিধি যোজনা,সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা,মৃত্তিকা পরীক্ষার মতো প্রকল্পগুলির খুব গুরুত্ব সহকারে বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তাছাড়াও কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদে অভ্যস্ত করে তুলতে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের ১১ কোটির বেশি কৃষক কিষান সম্মাননিধি যোজনায় উপকৃত
হয়েছেন।রাজ্যেও ইতিমধ্যে কিষান সম্মাননিধি যোজনায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যে কৃষকদের মাসিক আয় বেড়ে এখন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য রাজ্যে কৃষি বাজার গড়ে তোলা হচ্ছে।আরও বেশি সংখ্যক কৃষককে কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।কৃষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চার হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি যোজনায় কৃষকদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন।রাজ্য সরকারও কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে।রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ
মেট্রিকটন ধান কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ক্রয় করেছে। এতে রাজ্যের কৃষকগণ ৩০০ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।এবার রাজ্যের ১৫ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।এজন্য রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ৩১টি ব্লকে ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ধান ক্রয়ের কাজ শেষ করতে আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন সন্নিকটে।আধিকারিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন নির্বাচনের কাজে।তাই কোনওভাবেই সময় নষ্ট করা যাবে না।
উল্লেখ্য, এবার প্রতি কেজি ধান ২১ টাকা ৮৩ পয়সা দরে ক্রয় করা হবে। অনুষ্ঠানে সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, কৃষকদের কল্যাণে রাজ্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।এতে রাজ্যের কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার।ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শান্তিরবাজার মহকুমাশাসক অভেদানন্দ বৈদ্য।
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রয়াত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকআপ আর্টিস্ট বিক্রম গায়কোয়াড। মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-জরুরি বৈঠকে বসলেন স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইবি প্রধান। বৈঠকে রয়েছেন মুখ্যসচিবরাও। জানা যাচ্ছে,…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিকেল পাঁচটায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের গিরগিটি রূপ ধারণ করল পাকিস্তান।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাত পোহানো দূর অস্ত। চার ঘণ্টাও কাটল না। এর মধ্যেই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনার কারণে, নিরাপত্তার জন্য চারধামে হেলিকপ্টার পরিষেবা বন্ধ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাতভর দীর্ঘক্ষন আলোচনা হয়, তারপরই দুই দেশ অবিলম্বে সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় বলে…