ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী পবনদীপ,অবস্থা আশঙ্কাজনক!!
সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরক বিপ্লব!!!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- দলবিরোধী কার্যকলাপে সবার জন্য সমভাবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।সেই ব্যবস্থা যেন ব্যক্তিবিশেষ না হয়।ব্যক্তিগত আক্রোশে যাওয়া এবং বিদ্বেষ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।কাজ করতে গেলে ভুল হবে। মানুষ ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়। ভুল যদি কেউ করে থাকে তাহলে সংশোধন করে একসাথে চলা উচিত।আমিও দলের সভাপতি ছিলাম, আমিও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছি। যতটা পেরেছি মানুষের জন্য কাজ করেছি। রবিবার নিজের সরকারী বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ইঙ্গিতপূর্ণ কথাগুলি বলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মূলত, প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় নির্দেশ মোতাবেক তার উদ্যোগে রাজ্যের তিন জেলায় সাংসদ স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরগুলিতে দেশের প্রথিতযশা হাসপাতালগুলির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসকরাও রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। তিনদিনের শিবির রবিবার শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য শিবিরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতেই রবিবার সন্ধ্যায় নিজের সরকারী বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ কথাগুলি বলেন। তিনি এদিন বলেন,এই সাংসদ স্বাস্থ্যশিবির আয়োজন করা নিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিভ্রান্তিমূলক খবর ছাপা হয়েছে বলে দাবি করে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রীদেব। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং কাউকে খুশি করার জন্য এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো উচিত নয়। সাংসদ স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের বিষয়ে আমি নিজে কথা বলেছি মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার সাথে। মুখ্যসচিবকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়েছি। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায় তিন জেলায় তিনদিন স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন জেলার মানুষ এতে উপকৃত হয়েছেন।এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন,এ ধরনের বিভ্রান্তিতে রাজ্যের বদনাম হয়। ত্রিপুরাকে বদনাম করে কী লাভ হবে? সব জায়গায় বিপ্লব দেব রাজনীতি করে না।বিপ্লব দেব কাজ করতে এসেছে, কাজ করতে চায়। এখানে অন্য কোনও বিষয় নেই। শ্রীদেব বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা এখন অনেক উন্নত।আগের তুলনায় রেফার অনেক কমে গেছে। ২০১৮ সালের পর থেকে স্বাস্থ্য উন্নয়নে অনেক কাজ হয়েছে। আগে যা কল্পনাও করা যেত না, এখন রাজ্যে এসব পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। তারপরও মাঝে মাঝে এমন স্বাস্থ্য শিবির হলে মানুষ উপকৃত হবে। অনেক গরিব মানুষ বহিঃরাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন না। তারা এই ধরনের শিবির থেকে নামকরা চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
