সাইবার অপরাধে নয়া সংযোজন, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে দামি মোবাইল লুঠ।

 সাইবার অপরাধে নয়া সংযোজন, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে দামি মোবাইল লুঠ।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || অনলাইন শপিং অ্যাপের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে দামি মোবাইলসেট লুঠ করে নিয়েছে অন্য কেউ।যার অ্যাকাউন্ট তিনি বুঝতেই পারেননি।পরে জানতে পেরে সাইবার অপরাধ দমন শাখায় মামলা ঠুকেছেন।অ্যাপের অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা সাইবার অপরাধ জগতে নব সংযোজন।ফলে এই অনলাইন শপিং অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের জন্য এই ঘটনা এক উদ্বেগজনক বার্তা।ইতোপূর্বে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং বা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নম্বর হ্যাক করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফাই করার বহু ঘটনা ঘটেছে।অনেকে নি:স্ব হয়ে গেছেন।কিন্তু সংস্থাটি বা এ জাতীয় সংস্থাগুলির ভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংসের ঘটনা এবারই সামনে এসেছে।প্রশ্ন উঠতে পারে উক্ত অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং করে হ্যাকার দাম না মিটিয়ে কীভাবে মোবাইল সেটটি হাতে পেয়ে গেল?অনলাইন শপিং অ্যাপে যারা নিয়মিত কেনাকাটা করেন,অর্থাৎ সংস্থাটি ‘মূল্যবান’ ক্রেতাদের জন্য ‘পে লেটার’ সুবিধা দিয়ে থাকে।এর মাধ্যমে উক্ত সুবিধাপ্রাপক ক্রেতা কিস্তিতে পণ্য কিনতে পারেন।এই রকমই একজন ক্রেতা উত্তর জোলাইবাড়ির শিশির কান্তি দাস। তাকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কেনাটাকা বা পণ্য ডেলিভারি হওয়া পর্যন্ত কোনও মূল্য প্রদান করতে হয় না।পরে কিস্তিতে শোধ করার সুবিধা আছে। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকার তার নিজের অ্যাপের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ২৭,২৭৮ টাকা মূল্যের একটি স্যামসাং মোবাইল | তুলে নিয়েছে।হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা শিশির জানান,২৭ মে থেকে তার মোবাইলে ওই অনলাইন শপিং অ্যাপের অ্যাকাউন্ট একসেস করতে পারছিলেন না।ওটিপি জেনারেট করলেও মোবাইলে ওটিপি আসে না।২৯ মে সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে কল করে এবিষয়ে সাহায্য চাইলে জানানো হয় বহুবার ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) জেনারেট করার চেষ্টা করায় অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে গেছে। চব্বিশ ঘণ্টা পর চেষ্টা করতে বলা হয়।যথারীতি শিশির ৩০ মে চেষ্টা করে অ্যাকাউন্টটি খুলতে সক্ষম হন।তিনি দেখতে পান ‘পে লেটার’ সুবিধা নিয়ে একটি মোবাইল সেট গুজরাটের ভদোদরায় রবি নামক এক ব্যক্তির কাছে ডেলিভারি হয়ে গেছে। মোট ১২ কিস্তিতে ২৭, ২৭৮ টাকা মূল্য মেটাতে হবে। যেহেতু অ্যাকাউন্টটি শিশিরের, স্বাভাবিকভাবে মূল্য মেটানোর দায়ও তারই।যিনি মোবাইল সেটটি হাতিয়েছেন তিনি তো পগারপার।শিশির ফের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে অভিযোগ করেন তিনি কোনও মোবাইল সেট নেননি।যেখানে বা যার কাছে ডেলিভারি হয়েছে তার সাথে কোনও সম্পর্কই নেই।এই ধরনের অপরাধ নামি সংস্থার মতো অনলাইন শপিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য বিপজ্জনক ও আতঙ্কের।সাইবার অপরাধ দমন শাখা এ বিষয়ে কতটা সফলতা দেখাতে পারে সেদিকে তাকিয়ে থাকবে জনতা ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.