সাইবার ক্রাইম ঠুঁটো জগন্নাথ!!

 সাইবার ক্রাইম ঠুঁটো জগন্নাথ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যে একের পর এক প্রতারকের ফাঁদে পড়ে মানুষ সর্বস্বাস্ত হয়ে গেলেও না সাইবার ক্রাইম না পুলিশ কোনও বিভাগেরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে কোনও তৎপরতা ও উদ্যোগ নেই। আর তাতেই প্রতারক চক্র ডিজিটাল ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে য়ে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে দিব্যি ও অনায়াসে মানুষের অর্থ লুটে নিচ্ছে। প্রতারক চক্রের কথামতো অনলাইনে গুগলপে-তে পেমেন্ট করে প্রতারণার গ। শিকার হচ্ছেন অসহার মানুষ। এ ধরনের ঘটনা প্রায় প্রতিদিন আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটেই চলেছে। আগরতলায় প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ পুরোনো মহাকরণ সংলগ্ন সাইবার ক্রাইম অফিসে প্রতিকার পেতে ছুটে গেলেও অফিসে কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীরা কাউকেই কোনও সাহায্য সহযোগিতা করছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুব্ধ মানুষের প্রশ্ন সাইনবোর্ড টাঙিয়ে সাইবার ক্রাইম অফিস চালু রেখে কি লাভ। প্রতারকের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিপুল টাকা গচ্ছায় গেলেও সাইবার ক্রাইম অফিস সব জেনেশুনেও অভিযোগ পেয়েও রহস্যজনকভাবে হাত গুঁটিয়ে বসে থাকার পেছনে কি কারণ রয়েছে তা নিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুব্ধ মানুষ এই প্রশ্ন
বাড়ছে ক্ষোভ তুলেছে। শুধু প্রশ্নই নয়, সাইবার ক্রাইম অফিসের নিষ্ক্রিতায় ও নীরবতা নিয়ে সন্দেহও বাড়ছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবারও আগরতলার ভোলাগিরিস্থিত রাজ্য সরকার পরিচালনাধীন গীতাঞ্জলি টুরিস্ট গেস্টের রুম বুকিং নিয়েও অভ্রদীপ পাল নামে এক যুবক প্রতারকের ফাঁদে পড়ে অনেক টাকা গচ্ছা দিলেন।শুক্রবার পুরানো মহাকরণ সংলগ্ন সাইবার ক্রাইম অফিসে গিয়ে অভ্রদীপ পাল এই অভিযোগ জানাতে গেলেও অভিযোগ নেওয়া হয়নি। শ্রীপাল গীতাঞ্জলি টুরিস্ট গেস্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে রুম বুক করার সব কিছু জেনে নেন। তারপর ফোন নং ৯৩৯৫৮০৪৮৬৭ নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ) ফোন করলে অপর প্রান্ত থেকে পরিচয় দেওয়া হয় ম্যানেজার হিসাবে। অভ্রদীপ ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে গেস্ট হাউসের দুটি রুম বুক করে আগাম পাঁচ হাজার টাকা গুগল-পে করে দেন। পরবর্তী সময়ে ম্যানেজার পরিচয়ধারী ওই ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা আগাম মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কনফার্মেশন জানানোর জন্য বলা হলে স্পষ্টত ম্যানেজার পরিচয়ধারী বলে দেন দুটি রুমের মোট ভাড়া ১৮ হাজার টাকা। তার অর্ধেক আরও চার হাজার টাকা মিটিয়ে দিলেই রুম বুকের কনফার্মেশন দেওয়া হবে। এই কথা শুনেই অভ্রদীপ পালের সন্দেহ হয়। প্রতারক চক্র কি না তা নিয়ে সন্দেহ বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান গীতঞ্জলি টুরিস্ট গেস্ট হাউসে। সেখানে গিয়ে সবিস্তারে সবকিছু জানালে বলা হয় এই ওয়েবসাইট তাদের নয়। গীতাঞ্জলি টুরিস্ট গেস্ট হাউসে রুম বুক করতে হলে ত্রিপুরা সরকারের রাজবাড়িস্থিত টুরিজম অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে রুম বুক করা যায়- শ্রীপালকে জানানো হয়। গীতাঞ্জলির তরফে আরও জানানো হয় তাদের কাছে এমন আরও ২০-২৫ জন অভিযোগ করেন প্রতারকের ওয়েবসাইটে গিয়ে রুম বুক করার টাকা মিটিয়ে দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে গীতাঞ্জলি টুরিস্ট গেস্টে গুগল সার্চ করলেই প্রথমে প্রতারকের ওয়েবসাইট চলে আসে। সেই কারণে মানুষ এটা গীতাঞ্জলির আসল ওয়েবসাইট বলে ধরে নিয়ে রুম বুক করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো গীতাঞ্জলির তরফে সবকিছু জেনে শুনেও কেন প্রতারণার বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। প্রতারণার ফাঁদ পাতা ওয়েবসাইট কেন সরিয়ে দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না গীতাঞ্জলি টুরিস্ট গেস্ট কর্তারা। রাজ্য সরকারের টুরিজম দপ্তরও এই বিষয়ে কেন নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই অভিযোগ শুক্রবার সাইবার ক্রাইম অফিসে জানাতে গেলে অভ্রদীপ পালকে ত্রিশ মিনিটের উপর বসিয়ে রাখা হয়। দুদিন পর আসার জন্য সাইবার ক্রাইম অফিস থেকে বলে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত অভ্রদীপ পালকে প্রতারক চক্র ধরতে কোনও প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়নি। এদিকে, দু তিন মাস আগে দীপক ঘোষ নামে চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনীয়ারও রামদেবের প্রতিষ্ঠান হরিদ্বারের পতঞ্জলিতে কানাড়া ব্যাঙ্কের মাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্টে ৪২ হাজার টাকা দিয়েও প্রতারণার শিকার হন। সেই টাকা পতঞ্জলির অ্যাকাউন্টে পড়েনি। শ্রীঘোষ পরে এ বিষয়ে প্রথমে সাইবার ক্রাইম অফিসে তারপর পশ্চিম জেলার এসপি, পূর্ব থানা, মহারাজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরেও কোনও ‘অভিযোগই খাতাপত্রে জানাতে পারেননি। অভিযোগ নেয়নি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.