সামান্য বিবাদ ঘিরে প্রকাশ্যে ও নৃশংস খুন যুবক, গ্রেপ্তার ১!!

 সামান্য বিবাদ ঘিরে প্রকাশ্যে ও নৃশংস খুন যুবক, গ্রেপ্তার ১!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- কালের বিবর্তনে মানবজাতির কীর্তি ধীরে ধীরে যেন লজ্জায় ফেলছে পশু সমাজকেও। দেশে তথা রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সমাজে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে অসহিষ্ণুতা। শুক্রবার আমতলি থানাধীন মধ্যপাড়া এলাকায় অতি সামান্য এক ঘটনায় ঝরলো রক্ত। এদিন রাজধানীর আমতলি বাজার এলাকায় এক সাধারণ ঘটনাকে ঘিরে পার্শ্ববর্তী এক দোকানির হাতে প্রাণ দিল অপর দোকানের এক তরতাজা যুবক। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দুপুর আনুমানিক বারোটা নাগাদ সাধারণ এক বিবাদকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব বাধে দুই পার্শ্ববর্তী দোকানির মাঝে। ঘটনায় বিবাদ তীব্রতর হলে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ এর পরপরই ইলেকট্রনিক্স দোকানের কর্মী সায়ন ভৌমিকের (২২) উপর হামলে পড়ে সম্রাট দেবনাথ (২৬) নামে টায়ার মেরামতির দোকানি এক যুবক। আকস্মিক এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। দিন দুপুরে এই ঘটনায় হতচকিত এলাকাবাসীদের মতে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন তারা। নৃশংস এই খুনের প্রত্যক্ষদর্শী হলেও অভিযুক্তের হাতে ধারালো অস্ত্র সহ লোহার রড থাকায় কিছুই করতে পারেননি তারা। যদিও এর পরপরই খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় আমতলি থানার পুলিশ। আটক করা হয় অভিযুক্ত হাপানিয়া টিএমসির পার্শ্ববর্তী এলাকা নিবাসী সম্রাট দেবনাথকে। ক্ষণিক বাদেই খবর পেয়ে অকুস্থলে ছুটে যান পশ্চিম পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে’র নেতৃত্বে আমতলি এসডিপিও প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা, আমতলি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রঞ্জিত দেবনাথ এবং বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। এদিকে ডাকা হয় পুলিশের ফরেন্সিক টিমকেও। গুরুতর আহত সায়ন ভৌমিককে তাৎক্ষণিকভাবে হাপানিয়াস্থিত টিএমসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত প্রাণ রক্ষা হয়নি সে যুবকের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। জানা যায়, তার বাড়ি বিশালগড় দুর্গানগর এলাকাতে। এদিকে অভিযুক্ত সম্রাট দেবনাথকে আটক করে নিয়ে যায় আমতলি থানার পুলিশ। দিনের আলোয় জনবহুল এলাকায় সংঘটিত এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করতে বেগ পেতে হয় পুলিশ বাহিনীকেও বলে জানান এলাকাবাসী। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাদে দুই যুবকের মাঝে। এদিকে প্রণয় ঘটিত ব্যাপার নিয়ে একে অপরকে কটুক্তি করায় এদিন উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি বলেও সন্দেহ উঠে আসছে বিভিন্ন মহলে। আপাতভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্তর্গত ৪৪৯ এবং ৩০২ এর অন্তর্গত মামলা গ্রহণ করে তদন্তে নেমেছে আমতলি থানার পুলিশ। আগামীতে সঠিক পুলিশি তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামীকাল অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানা যায় সংশ্লিষ্ট থানা তরফে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.