সাড়ে ১৬ কোটি বছর পুরোনো উড়ন্ত ডায়নোসরের জীবাশ্ম মিলল স্কটল্যান্ডে!!

 সাড়ে ১৬ কোটি বছর পুরোনো উড়ন্ত ডায়নোসরের জীবাশ্ম মিলল স্কটল্যান্ডে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-নিউ ইয়র্কের ন্যাচরাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদদের একটি দল স্কটল্যান্ডের আইল অফ স্কাই দ্বীপে ‘উড়ন্ত ডায়নোসরের’ জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন,ওই প্রাণীরা আক্ষরিক অর্থে উড়ন্ত ডায়নোসর ছিল না, বরং তারা ছিল অনেকটা ডায়নোসরের মতো দেখতে স্বতন্ত্র এক প্রজাতির সরীসৃপ। তবে আকারে বৃহৎ।এই প্রজাতির সরীসৃপদের বলা হয় ‘টেরোসর’।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অনুমান করা হচ্ছে এই জীবাশ্মের বয়স ১৬.৮ কোটি বছর থেকে ১৬.৬ লাখ বছর। ওই সময়কালকে বলা হয় ‘মধ্য-জুরাসিক’ যুগ। অর্থাৎ, যে সময় পৃথিবীতে বিশালদেহী ডায়নোসরের অস্তিত্ব ছিল, প্রায় একই সময়ে এই গ্রহে বসতি ছিল এই উড়ন্ত সরীসৃপের।এ ধরনের সরীসৃপগুলোর বেশির ভাগেরই আবাস ছিল চিন। বিজ্ঞানীদের এই সংক্রান্ত গবেষণা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘জার্নাল অফ ভার্টিব্রেট প্যালিয়ন্টেলজি’।ভার্টিব্রেট প্যালিয়ন্টেলজি কথাটির অর্থ মেরুদণ্ডী জীবাশ্মবিদ্যা। অর্থাৎ, ওই উড়ন্ত ‘ডায়নোসর’ ছিল এমন একটি সরীসৃপ যাদের দেহে মেরুদণ্ড ছিল।
স্কটল্যান্ডের ওই দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে একটি পাথরের উপর ওই জীবাশ্মের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা।জীবাশ্মটির ডানা, কাঁধ, পা ও মেরুদণ্ড পাওয়া গেছে।তবে সেটির মাথার খুলি পাওয়া যায়নি।স্কাই দ্বীপে এ পর্যন্ত পাওয়া দ্বিতীয় টেরোেসর এটি।এ প্রজাতির টেরোসরকে ‘সিওপটেরা’ নামে ডাকা হতো।স্কটিশ গায়েলিক
শব্দ ‘সিও’ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে।এই শব্দের অর্থ কুয়াশা।ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লিজ মার্টিন সিলভারস্টোন একটি সিটি স্ক্যানার ব্যবহার করে জীবাশ্মটির ত্রিমাত্রিক ডিজিটাল মডেল তৈরি করেছেন।মিডল জুরাসিক নামে পরিচিত ওই যুগের কোনও জীবাশ্ম পাওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত বিরল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সিলভারস্টোন বলেন, ‘ওই সময়ের একটি হাড়ের চেয়ে আরও বেশি কিছু পাওয়াটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার।’ওই উড়ন্ত সরীসৃপের এক থেকে দেড় মিটার প্রস্থের পাখা ছিল বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান।
বিশ্বের প্রখ্যাত জীবাশ্মবিদ, ডায়নোসর বিশেষজ্ঞ মার্কিন অধ্যাপক স্টিভ ব্রুসাট্টে এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও মন্তব্য করেছেন, ‘এই আবিষ্কার স্কটল্যান্ডের জন্য অনন্য বিষয়।এই গবেষণা এটাই প্রমাণ করে, বিবর্তনের আদিম ও পরবর্তী ধাপগুলোতে এক ধরনের টেরোসরের অস্তিত্ব ছিল।এটি পাখিদের অস্তিত্বেরও আগের সময়ের কথা। তখন টেরোেসররা আকাশ শাসন করত।’এই গবেষণায় দেখা গেছে, টেরোসররা স্কটল্যান্ডের সাধারণ প্রাণী ছিল।তারা ডাইনোসরদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে বেড়াত।ব্রুসেট্টে বলেন, মিডল জুরাসিক যুগে আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যবর্তী একটি দ্বীপের অংশ ছিল স্কটল্যান্ড। ওই দ্বীপে কিছু সমুদ্রসৈকত ও অগভীর হ্রদ থাকায় এবং সেখানকার আবহাওয়ার কারণে টেরোসররা সেখানে থাকতে পছন্দ করত বলে মনে করা হয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.