সিএএ ইস্যুতে নরম সুর বিজয় রাঙ্খলের!!

 সিএএ ইস্যুতে নরম সুর বিজয় রাঙ্খলের!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-লোকসভা নির্বাচনের মুখে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশজুড়ে বহু চর্চিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকর করেছে।ভোটের মুখে ‘সিএএ’ কার্যকর করা নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরব হয়েছে। বিশেষ করে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামদলগুলি তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করছে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। এককথায়,জাতীয় রাজনীতি এখন ‘সিএএ’ ইস্যুতে সরগরম। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সিএএ কার্যকর করা নিয়ে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের হাতে তৈরি তিপ্রা মথা দলের সুর একেবারেই নরম শোনা যাচ্ছে। মোদ্দাকথা, সিএএ ইস্যুতে নিজেদের অভিমত এবং অবস্থান দুটোই পাল্টে নিয়েছে তিপ্রা মথা।আরও স্পষ্ট করে বললে,একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে মথা।

মঙ্গলবার এই ব্যাপারে দৈনিক সংবাদ অনলাইনের পক্ষ থেকে তিপ্রা মথার রাজ্য সভাপতি বিজয় রাঙ্খলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, তিনি যা বললেন তাতেই ‘সিএএ’ নিয়ে তিপ্রা মথার অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিজয়বাবু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ‘সিএএ’ কার্যকর করবে এটা আমরা জানতাম। তবে এই আইন ষষ্ঠ তপশিলভুক্ত এলাকায় কার্যকর হবে না।তিনি আরও বলেন, এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে এখনও মামলা রয়েছে। মামলায় কি হয়?সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো। বিজয়বাবুর এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, সিএএ নিয়ে তাদের পূর্বে যে অবস্থান ছিলো সেখান থেকে তারা সরে এসেছেন।

যদিও সিএএ কার্যকর করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরগেট এলাকায় তিপ্রা মথার ছাত্র সংগঠন টিএসএফের পক্ষ থেকে কয়েকজন কর্মী বিক্ষোভ প্রদশন করে এবং সিএএ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তিটি আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।অথচ এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এক সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরা রাজ্য। প্রদ্যোত কিশোরের নেতৃত্বে এই আন্দোলনে মাধববাড়িতে গুলী পর্যন্ত চলেছে।আহত হয়েছিলো বেশ কয়েকজন। আন্দোলনের আগুনে পুড়েছে একাধিক দোকান। নষ্ট হয়েছে প্রচুর সম্পত্তি।

শুধু তাই নয়, সিএএ- এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত মামলা দায়ের করেছিলেন প্রদ্যোত কিশোর।

এই ইস্যুতেই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন প্রদ্যোত।গড়ে তুলেছিলেন এনজিও।সেই এনজিওর ব্যানারেই সিএএ-এর বিরুদ্ধে রাজ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।তার দাবি ছিলো, কোনও অবস্থাতেই ত্রিপুরায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা যাবে না। এরপর গোমতী-হাওড়া দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। পরিস্থিতিও বদল হয়েছে। এখন প্রদ্যোত কিশোর শাসকদল বিজেপির মিত্র শক্তি।যদিও সিএএ কার্যকর করা নিয়ে এখনও তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।তবে দলের সভাপতি বিজয় রাজ্বলের বক্তব্যে তাদের অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া, এটাও ঠিক যে ষষ্ঠ তপশিল এলাকাকে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.