সিএএ নিয়ে মোদির প্রশংসায় মার্কিন গায়িকা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্তে
প্রথম দিকে মার্কিন সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, প্রখ্যাত আফ্রো-আমেরিকান পপ গায়িকা মেরি মিলবেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) গায়িকা বলেছেন, ‘এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত পদক্ষেপ।… সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের প্রদর্শন।’
ভারতে সিএএ কার্যকর হওয়ার পরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা।ধর্মের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক দেশে শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়েই চিন্তা প্রকাশ করেছিল আমেরিকা।ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে ভারতে এই আইন প্রয়োগের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জো বাইডেনের সরকার। তবে ভারত যে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার নাক গলানো পছন্দ করছে না, তাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র শুক্রবারই বলেন, ‘সিএএ হল নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধি।কেড়ে নেওয়ার আইন নয়।এই আইন মানুষের সম্মান এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের সিএএ নিয়ে আগ বাড়িয়ে মনোভাব প্রকাশকে অযৌক্তিক ও অনভিপ্রেত বলে মনে করে ভারত।’পরে ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রশাসনকে জবাবও দেওয়া হয়। এই আবহে মেরি মিলবেনের মুখে সিএএ-র প্রশংসা নিঃসন্দেহে অন্য মাত্রা যোগ করেছে।মিলবেন দাবি করেছেন, তার দাবি, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার যারা তাদের ‘ঠাঁই’ দিচ্ছেন মোদি। আর এই ‘প্রয়াসকে সহানুভূতিশীল নেতৃত্ব প্রদর্শন’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে মার্কিন মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করে মেরি মিলবেন লিখেছেন, ‘যারা নিজেদের ধর্মবিশ্বাসের কারণে নিপীড়িত, তাদের জন্য ভারতে নাগরিকত্বের ব্যবস্থা করে দিয়ে সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের প্রদর্শন করছেন মোদি। খ্রিস্টান, হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ যারা ধর্মীয় স্বাধীনতা চান তাদের জন্য এটাই শান্তির পথ। সিএএ গণতন্ত্রের প্রকৃত পদক্ষেপ।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে সই করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। দীর্ঘ চার বছর পর, লোকসভা নির্বাচনের মুখে চলতি সপ্তাহে ভারতে সিএএ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘সিএএ ধর্মীয় স্বাধীনতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তারা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং ভারত এই আইন কীভাবে প্রয়োগ করে, তার উপরে গভীর নজর রাখা হচ্ছে।গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলির মধ্যে অন্যতম ধর্মীয় স্বাধীনতা আর সকল সম্প্রদায়ের সমানাধিকার।বস্তুত,মার্কিন গায়িকা এক্স হ্যান্ডেলে যে কথা লিখেছেন, তা স্পষ্টতই মার্মিন সরকারের উল্টো মত।