“সিত্রাং”-এ বিপর্যস্ত দীপাবলি!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। সিত্রাং নামক ঝড় ও বৃষ্টির প্রভাবে গোটারাজ্যেই বিপর্যস্ত হয়েছে দীপাবলি উৎসব। দু,বছর করোনা কাল কাটিয়ে এবার উদয়পুর মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে দীপাবলি উৎসব কে কেন্দ্র করে ব্যপক আয়োজন করা হয়েছিল। আচমকা সিত্রাং নামক বিপর্যয় আছড়ে পড়ায় সব আয়োজন মাঠে মারা গেছে। দীপাবলি উৎসব ও মেলাকে কেন্দ্র করে মাতাবাড়িতে প্রতিবছর যেখানে লক্ষাধীক মানুষের সমাগম ঘটে, সেখানে সোমবার দীপাবলিতে উদয়পুর মাতাবাড়ি ছিল সেই অর্থে একেবারেই ফাঁকা। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে দীপাবলি উৎসব ও মেলাকে কেন্দ্র করে মাতাবাড়িতে যারা বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান দিয়েছে।
নব্বই শতাংশ দোকানি দোকানই খুলতে পারেনি। যারা খুলেছেন তারাও কেউ গালে হাত দিয়ে, কেউ বুকে হাত দিয়ে বসে থেকেছেন। মানুষই নেই বিক্রি হবে কোথা থেকে? একেবারে পথে বসেছে বিভিন্ন খাবারের দোকানিরা। তাদের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কত আশা নিয়ে মেলায় দোকান দিয়েছে দু,পয়সা রোজগারের জন্য। মেলা কর্তৃপক্ষ কে টাকা দিয়ে রাস্তার পাশে একটু জায়গা নিয়েছে। সব জলে গেছে।
শুধু মাতাবাড়িতেই নয়, সিত্রাং তান্ডবে সারা রাজ্যেই বিঘ্নিত হয়েছে দীপাবলি উৎসব। বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। বহু জায়গায় পুজোর প্যান্ডেল ভেঙ্গেছে।
গাছ ভেঙ্গেছে। নজির বিহীন বিপর্যয় ঘটেছে বিদ্যুৎ পরিষেবায়। জিরানীয়া এলাকায় একটি পুজোর প্যান্ডেল ভেঙে প্রতিমা বৃষ্টির জলে গলে গেছে। নতুনবাজারে একটি প্যান্ডেল ভেঙ্গেছে। আগরতলা রবীন্দ্র ভবনের সামনে একটি পুজোর প্যান্ডেল ভেঙ্গে রাস্তায় পড়েছে। বিশালগড়ে লাইটের গেইট ভেঙ্গেছে। এছাড়াও আরও অনেকে জায়গায় পুজোর প্যান্ডেল ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। সোমবার দীপাবলির সন্ধ্যা থেকে রাজ্যের বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ছিলো না। রাতভর ছিলো অন্ধকারে। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত দীপাবলি। তবে সিত্রাং নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সতর্কতা জারি করা হয়েছিলো, এবং একটা যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্হিতি তৈরি করা হয়েছিলো তাতে জনগন আতংকিত হয়ে পড়েছিলো বলে মনে করছে অনেকে।