সিপিএম-কংগ্রেস জোট নিয়ে শঙ্কিত নয় বিজেপিঃ সুশান্ত
সিপিএম-কংগ্রেসের সম্ভাব্য জোট নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল পদ্ম শিবির। শাসকদল এই জোটকে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানিয়েছে। সেসাথে বলেছে এক সময়ে সাপ-নেউলের মতো সম্পর্কে থাকা দুটি দলের বন্ধুত্ব মানুষ কোনও অবস্থাতেই মেনে নেবে না। শনিবার প্রদেশ বিজেপির নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেছেন, সিপিএম-কংগ্রেস উভয় দল পরস্পরকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করতো। এখন ক্ষমতা দখলের অলীক স্বপ্ন নিয়ে দুই দল জোট করতে চাইছে। মন্ত্রী বলেন, জোটকে গুরুতরভাবে নেওয়ার কিছু নেই। জোটকে ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। এই অশুভ আঁতাত নিয়ে বিজেপি শঙ্কিত নয়।মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা বামেদের হাতে পঁচিশ বছর লাগাতার নিপীড়িত হয়েছে। অজস্র কর্মী খুন হয়েছে। অজস্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এখন তাদের নির্বাচন ইনচার্জ জোটের বার্তা নিয়ে সিপিএম রাজ্য কার্যালয়ে পা রাখছেন। মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা দখলের জন্য কংগ্রেস সিপিএম দল এতটা নিচে নামতে পারে তা মানুষের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। ২০১৮ সালের আগে আড়াই
দশক পরিবর্তনের জন্য হাঁপিয়ে উঠেছিল কংগ্রেস কর্মীরা। এখন তাদের দলের নেতৃত্ব জোটের লক্ষ্যে পা রাখছে সিপিএমের ঘরে। সিপিএম এবং কংগ্রেস পরস্পরকে শিখণ্ডী বানিয়ে ভোটে জিততে চাইছে। তাদের এই স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে। কাজের নিরিখেই প্রত্যাবর্তন হচ্ছে বিজেপি সরকারের। সিপিএমের রাজনীতি দেশে অচল হয়ে গেছে। কংগ্রেসের সুবিধাবাদী রাজনীতিও মানুষ মেনে নেবে না। মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী প্রকৃত কংগ্রেস কর্মীদের এই জোট প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান রেখেছেন। একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, সিপিএমকে খুনি হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন তিনি। এখন তারাই আঁতাতে যাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, তারা যখন যে দলে যেতে বলবেন সেখানেই মানুষকে যেতে হবে! তিনি বলেন, দিল্লীতে কংগ্রেস হাইকমান্ড বরাবর সিপিএমকে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা উপঢৌকন হিসাবে দিয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব মানুষের আবেগ নিয়ে বিস্তর খেলা করেছে। সিপিএম অফিসে জোটের বার্তা নিয়ে গিয়ে আবারও একপ্রস্থ খেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের বিরোধিতা করেছিলেন। এখন এ রাজ্যে জোটের লক্ষ্যে সওয়াল করছেন। মানুষকে এসবের বিশ্লেষণ করতেও আহ্বান রেখেছেন মন্ত্রী।