সিবিএসইর ফল প্রকাশ এগিয়ে মেয়েরা!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশে চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সময়েই সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-র দশম ও দ্বাদশের ফলাফল প্রকাশিত হলো।এ বছরও সার্বিক পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় ফের এগিয়ে রইলো মেয়েরা।দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩.৬০ শতাংশ।২০২৩ সালে পাসের হার ছিল ৯৩.১২ শতাংশ। দশম শ্রেণীর সার্বিক পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ০.৪৮ শতাংশ।এ বছর দশমে ছাত্রীদের পাসের হার ৯৪.৭৫ শতাংশ,ছাত্রদের পাসের হার ৯২.৭১ শতাংশ।২০২৩ সালে ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৯৪.২৫ শতাংশ, ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৯২.২৭ শতাংশ।তবে এ বছর পরীক্ষায় নজর কেড়েছে তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থীরা। তাদের পাসের হার ৯১.৩০ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ছিল ৯০ শতাংশ।
এ বছর দশম শ্রেণীর ২০ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৬৭ জন ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হন।দেশের মধ্যে পাসের হারের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে তিরুবনন্তপুরম।এরপর রয়েছে যথাক্রমে বিজয়ওয়াড়া, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই।
দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭.৯৮ শতাংশ। এ বছর মোট ১৬ লক্ষ ২১ হাজার ২২৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৪২০ জন। তবে ২০২৩ সালে দ্বাদশের পাসের হার ছিল ৮৭.৩৩ শতাংশ।এ বছর পাসের হার বেড়েছে মাত্র ০.৬৫ শতাংশ।ছেলেদের পাসের – হার ৮৫.১২ শতাংশ, মেয়েদের পাসের হার ৯১.৫২ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৫০ শতাংশ। এ বছর পাসের হারের নিরিখে দেশের প্রথম স্থানে রয়েছে তিরুবনন্তপুরম। পাসের হার ৯৯.৯১ শতাংশ।রাজ্যে এ বছর দ্বাদশের ফলাফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কলা বিভাগে সম্ভাব্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে স্বামী ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলের ছাত্রী দেবঙ্গনা দাস।তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯ শতাংশ। এই স্কুলে দশম শ্রেণীর ফলাফলে অনুস্কা সাহা বিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছে।
দশম ও দ্বাদশের ফলাফলে এ বছরও সকলের নজর কেড়েছে রাজধানীর প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দির।দশম শ্রেণীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৭১ জন।এই বিদ্যালয়ে দশমের ফলাফলে রীতেশ সরকার প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দ্বাদশের মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৮০ জন। বিজ্ঞান বিভাগে বিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছে হর্ষরাজ পাল, কলা বিভাগে প্রথম হয়েছে রাজশ্রী পান্ডে,বাণিজ্য বিভাগে প্রথম হয়েছে সৌরদীপা দাস।
দশম ও দ্বাদশের ফলাফলে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ের ১০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০২ জন দশমের ফলাফলে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। অধিরাজ সাহা দশমের ফলাফলে স্কুলে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬ (৯৯.২ শতাংশ)।
দ্বাদশের ফলাফলে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৪ জন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। কলা বিভাগে দশজন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নয়জন পড়ুয়া প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে।বিনিত বিশ্বাস এই বিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৯।
রাজধানীর আসাম রাইফেলস পাবলিক স্কুল দশম ও দ্বাদশের ফলাফলে আবারও সকলের নজর কেড়ে নিলো। এই স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণীর পাসের হার একশো শতাংশ বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম হয়েছে পূর্ণন্দু মজুমদার (৯৬ শতাংশ)।কলা বিভাগে প্রথম হয়েছে শ্রীপ্রিয়া আচার্য (৯৪ শতাংশ)।বাণিজ্য বিভাগে প্রথম হয়েছে হৃতশঙ্কর রায় চৌধুরী (৮৪ শতাংশ)। দশম শ্রেণীতে ১১৬ জন ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হন বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছে কানহিয়া শর্মা (৯৬ শতাংশ)।
সিবিএসই পরিচালিত দ্বাদশ পরীক্ষায় আগরতলা ভোলানন্দ পল্লীস্থিত শ্রীকৃষ্ণ মিশন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ, কলা বিভাগ ও বাণিজ্য বিভাগে ২৫৯ জন এবারের পরীক্ষায় বসেছিল। সকলে কৃতিত্বের সাথে সাফল্য অর্জন করেছে। পাসের হার একশো শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্কুলে সর্বোচ্চ পঁচানব্বই শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে জাগৃতি চক্রবর্তী। কলা বিভাগে অনহিতা ঘোষ এবং সুচরিতা দাস যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে। উভয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৯৬.৬ শতাংশ।এদিকে, স্কুলের বাণিজ্য বিভাগে রত্নদীপ রায় ৯৪.৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও আগরতলা ভোলানন্দ পল্লীস্থিত শ্রীকৃষ্ণ মিশন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খুব ভালো ফলাফল প্রদর্শন করেছে। এদের মধ্যে ষাটজন ছাত্রছাত্রী নব্বই শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে। ৩১০ জন ছাত্রছাত্রী প্রথম বিভাগে পাস করেছে। স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তিনজন ছাত্রছাত্রী প্রথম স্থান অধিকার করেছে।এরা হলো শিখর দাস, পৃথা রায় ও ঋতুরাজ দাস। তিনজনেরই
প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.৪ শতাংশ।
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় মডার্ন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছেলেমেয়েরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে।এ বছর বাষট্টিজন পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় বসেছিল। তার মধ্যে একষট্টিজন প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে।দশম শ্রেণীতে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছে জয়স্মিতা কর্মকার। পাসের হার একশো শতাংশ।
অপরদিকে, দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে ১৭৮ জন পরীক্ষায় বসেছিল, তার মধ্যে ১৪০ জন প্রথম বিভাগে পাস করেছে, কলা বিভাগে একত্রিশজন পরীক্ষায় বসেছিল, তার মধ্যে পঁচিশজন প্রথম বিভাগে পাস করেছে, বাণিজ্য বিভাগে এগারোজন পরীক্ষায় বসেছিল।দ্বাদশ শ্রেণীতে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছে মুখথাং দেববর্মা।
এ বছরও ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দির দশম ও দ্বাদশে ভালো ফলাফল করেছে।এ বছর দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় বসেছে মাত্র ২৪৭ জন বিদ্যার্থী।তাদের মধ্যে ৪৯ জন নব্বই শতাংশের উপর নম্বর অর্জন করেছে,৮৮ জন আশি শতাংশের উপর স্বর অর্জন করেছে এবং ৫৬ জন সত্তর শতাংশের উপর নম্বর অর্জন করেছে বই মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে অশেষ দাস (৯৮.৪ শতাংশ)।
দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় বসেছে মোট ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে আটজন এই শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে।সাতচল্লিশজন আশি শতাংশের উপর নম্বর পেয়ে সফলতা অর্জন করেছে।বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যুগ্মভাবে ৯৬.২ শতাংশ এর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে অরিজিৎ দাস এবং শুভজিৎ দাস।বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে দেবজ্যোতি পাল।কলাবিভাগ থেকে ৯৩.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে টুটঙ্কর নম:।

Dainik Digital

Recent Posts

ফ্রি-ফ্রি-ফ্রি!

দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…

5 hours ago

এ কে-৪৭ ও প্রচুর কার্তুজ সহ ৬ বৈরী ধৃত মিজোরামে, চাঞ্চল্য!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…

1 day ago

ফাইফরমাশ খাটছেন টিএসআর জওয়ানরা !!

অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…

1 day ago

ইন্ডিগো আরও একটি দিল্লীর বিমান চালু করছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…

1 day ago

ইন্দ্রপ্রস্থে ভোট!!

দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…

1 day ago

বহিঃরাজ্যে গেল “ধানি লঙ্কা”ওরফে ধান্না মরিচ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…

2 days ago