সীমান্ত পরিস্থিতি, আইসিপির সামনে বসলো পুলিশ ব্যারিকেড!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সকল প্রকার ভিসা প্রদান সহ কনস্যুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পর পাঁচদিনের মধ্যে আগরতলা ল্যান্ডপোর্ট হয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল প্রায় পঁচাত্তর শতাংশ কমে গেছে। গত তেসরা ডিসেম্বর বাংলাদেশ ভিসা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।তার দুইদিনের মধ্যেই যাত্রী সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়।রবিবার যাত্রী চলাচল পঁচাত্তর ভাগই কমে গেছে।এদিন আগরতলা আইসিপি হয়ে ত্রিপুরা এসেছেন পঁচাত্তরজন যাত্রী। বাংলাদেশ গেছেন ছিয়াত্তরজন যাত্রী। সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর আইসিপি হয়ে তিপ্পান্নজন যাত্রী রাজ্যে এসেছেন, সমসংখ্যক যাত্রী গেছেন প্রতিবেশী দেশে।রবিবার আগরতলা আইসিপি হয়ে কোনও পণ্যবাহী গাড়ি রাজ্যে আসেনি।অন্যদিকে, শ্রীমন্তপুর হয়ে চারটি পণ্যবাহী গাড়ি রাজ্যে এসেছে।বাংলাদেশ গেছে সমানসংখ্যক পণ্যবাহী গাড়ি। শনিবার আগরতলা আইসিপি হয়ে ত্রিপুরা এসেছে আশিজন, প্রতিবেশী দেশে গেছে একশো পাঁচজন। এ দিন সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর হয়ে ষাট যাত্রী ত্রিপুরায় এসেছে।প্রতিবেশী দেশে যায় বত্রিশজন যাত্রী। আগরতলা আইসিপি সূত্রে জানা গেছে, যাদের বৈধ ভিসা রয়েছে তারাই যেতে পারছেন। খুব জরুরি প্রয়োজনেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন করে ভিসা দেওয়া হবে না। যার ফলে যাত্রীদের সংখ্যা আগামী দিনগুলিতে তলানিতে নামতে পারে। সীমান্ত সূত্র জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্যেও উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে। আগরতলা আইসিপি হয়ে দৈনিক গড়ে পঁচশোর মতো যাত্রী চলাচল করে দুই দেশের মধ্যে।এদিকে, আগরতলা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বিএসএফের সাথে পুলিশও সতর্ক নজর রাখছে আখাউড়া রোডে। অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আগরতলা আইসিপির সামনে ব্যারিকেড বসিয়েছে রাজ্য পুলিশ। শনিবার আগরতলা ল্যান্ডপোর্টের মূল ফটকের সামনে এই ব্যারিকেড বসিয়ে বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীবাহী পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পণ্য সামগ্রী খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়গুলি নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য,সোমবারের হামলার জেরে মঙ্গলবার আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ এক সহকারী হাইকমিশনের অফিস বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগরতলাতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সকল প্রকার ভিসা ও কনসুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।