সীমান্ত পর্যন্ত ট্রায়াল দিল ‘গ্যাং কার’।

 সীমান্ত পর্যন্ত ট্রায়াল দিল ‘গ্যাং কার’।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- প্রথমবারের মতো আগরতলা রেলে আগরতলা সীমান্ত পর্যন্ত চলেছে ‘গ্যাং কার’। তবে একে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল বলছেন না সংশ্লিষ্টরা।এই রেলরুটের প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, সেপ্টেম্বরের শুরুতে রেল ইঞ্জিনে হবে ট্রায়াল। সেটাই হবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল। লাইট ইঞ্জিনে এই রুটে ট্রেন চালাতে আরও কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। তবে পুরো এলাকায় রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সম্ভাব্য উদ্বোধনের দিনকে সামনে রেখে এই রেল রুটে কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। আখাউড়া- আগরতলা রেলরুটে ‘গ্যাং কার’ চলছে গেল কয়েকদিন ধরেই।এই কারে করেই রেললাইনে পাথর ঢালা হচ্ছে। আজ প্রথমবারের মতো বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত হাল্কা ওজনের কার চলেছে সীমান্তের জিরোলাইন অবধি।
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের নয়াদিল্লীর টেক্সমেকো রেল অ্যাণ্ড ইঞ্জিনীয়ারিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ প্রধান (কান্ট্রি হেড) শরৎ শর্মা বলেছেন, আখাউড়া অংশের ছয় কিলোমিটার এলাকায় রেললাইন বসানো হয়েছে। এখনো ভারী ইঞ্জিনে ট্রেন চলাচলে আরও কিছু কাজ করতে হবে। তবে গ্যাং কারে করে আজ আখাউড়া অংশের পুরো রেললাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আরও ঠিক কী কী কাজ করা প্রয়োজন তা দেখতেই এই কার চালানো হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে পুরো রেললাইন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী হবে তিনি আশাবাদী। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া- আগরতলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিঞা, বলেছেন, বর্ডার পর্যন্ত রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। ফিটিংস লাগানো শেষ হয়েছে। এখন বেলাস্টিং চলছে প্যাকিং দেওয়া হচ্ছে যাতে লেভেল ঠিক থাকে। তিনি বলেছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে এই কাজ শেষ হবে। তখন রেলওয়ে লাইট ইঞ্জিনে ট্রায়াল হবে। শ্রীজাফর বলেছেন, ইমিগ্রেশন ভবনের কিছু কাজ বাকি আছে। তবে আগামী ৯ তারিখের আগেই অনেকটা উপযোগী করা যাবে।আখাউড়া থেকে ভারতের ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেল রুটটি সাড়ে দশ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। এখানে ছয় কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে। বাকি সাড়ে চার কিলোমিটার আগরতলা অংশে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও রেল যোগাযোগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এই রেলরুট প্রকল্প। বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে এই রুটে কলকাত থেকে আগরতলা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন। এতে সময় কম লাগবে। এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.