সুইমিং পুলে মাছের চাষ!!

 সুইমিং পুলে মাছের চাষ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন।। সাতারুদের বঞ্চিত করে সুইমিং পুল থাকা পুকুরে মাছ চাষ এবং মাছের ব্যবসায় নেমেছে অমরপুর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ! শুধু তাই নয়, রীতিমত পুকুর লিজ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও ওই সুইমিং পুলের পুকুরে মাছ চাষের এবং মাছের ব্যবসার শুরুটা বাম আমলেই হয়েছিল। পুকুর পাড়ে অবস্থিত ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের কতিপয় কর্তা ব্যক্তি বাম জমানায় সাঁতার বন্ধ করে দিয়ে, সেই পুকুরে মাছের চাষ শুরু করেছিলো। বাম আমল পেড়িয়ে রাম আমলেও তা অব্যাহত আছে। শুধু হাত ও মুখ গুলো বদল হয়েছে মাত্র। এখন ব্যবসায় নেমেছে খোদ অমরপুর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ পুকুরের সুইমিং পুলে অনুশীলন করেই অমরপুরের সুবোধ ঘোষ, পালু সাহা, রবীন্দ্র দাস, অঞ্জন সাহা, রাজীব দেব, মিঠু দাস, শিবানি মজুমদারের মত মহকুমার কৃতি সাতারুরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে পুরস্কার জিতে রাজ্যের এবং মহকুমার নাম উজ্জ্বল করেছিলেন।

সেই সব এখন ইতিহাস। গত এক দশক ধরে সাঁতারের অনুশীলন বন্ধ। সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রের ওই পুকুরে এখন মাছ চাষের ব্যবসা চালাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুকুরে থাকা সুইমিং পুল অযত্নে অবহেলায় পরে থেকে থেকে গঙ্গাপ্রাপ্তি হয়েছে। কয়েকটি পিলারের মাথা ও পাটাতনের ভাঙ্গাচুরা অংশ উঁকি দিতে দেখা যায় পুকুরের জল কমে গেলে। তাছাড়া মাছ চাষের জন্য পুকুরে রাসায়নিক সার ও ঔষধ ব্যবহারের ফলে পুকুরের জলও সাঁতারুদের ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে গেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই পুকুরে মাছ চাষে যতটা উৎসাহি, ঠিক ততটাই অনুৎসাহি সুইমিং পুলটির সংস্কার করে মহকুমার কচিকাঁচা সাঁতারুদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে। ফলে বেজায় ক্ষুব্দ মহকুমার কৃতি সাতারুরা এবং সাঁতার প্রেমি ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.