এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নের নামে চলছে হরির লুট।ত্রিপুরা রুরাল ইকোনমিক গ্রোথ অ্যান্ড সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্টে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের চিত্র শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনে সামনে টেনে এনেছেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।ওই প্রকল্পে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ১৪০০ কোটি টাকা উপজাতি উন্নয়নের কাজে লাগছে না।বর্ষকালীন অধিবেশনের তৃতীয় দিনে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমনটাই বললেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।রেফারেন্স পিরিয়ডে সুদীপ রায় বর্মণ জনজাতি কল্যণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার কাছে এই প্রজেক্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। বিকাশ দেববর্মা দু’একটি লাইন বলেই বাকিটা ‘লে’ করে দেন। ক্ল্যারিফিকেশন নোটিশ এনে বিধায়ক শ্রীবর্মণ বলেন,উপজাতি কল্যাণ দপ্তর উপজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে একটি সোসাইটি গঠন করেছে।সেই সোসাইটির করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ১৪০০ কোটি নেওয়া টাকার সাগর চুরি হচ্ছে। সোসাইটির মাধ্যমে এই কাজ হওয়ায় ক্যাগ এই অর্থের অডিটও করতে পারবে না।মোটা বেতনে আন্দামান,ওড়িশা সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে লোকেদের এনে চলছে অর্থের লুটপাট।প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কনসালটেন্সিকে।তারা তিন বছরে নিয়ে যাবে ২০০ কোটি করে টাকা। প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে সাইড লাইন করে রাখা হয়েছে এডিসিকে।
মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুদীপ বাবু বলেন,তাদের ঘুমে রেখে উপজাতি উন্নয়নের নামে পকেট ভারী করছে কিছু লোক। সোসাইটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা উল্লেখ করে তিনি বলেন,প্রতি মাসে ১ কোটি টাকা বেতনে খরচ হচ্ছে। প্রকল্পের কর্মকর্তাদের খাওয়ার বিল আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত চলে যাচ্ছে।দামি দামি গাড়ি ব্যবহার চলছে দেদার।তিনি বলেন, উপজাতিদের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ এই বিষয়টির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে তদন্ত করে দেখতে বলেছেন। এদিন কংগ্রেস বিধায়ক শ্রী বর্মণ উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার সম্পত্তির বহর প্রকারান্তরে মেলে ধরেছেন। কোথায় কার নামে কী সম্পত্তি রয়েছে বিকাশবাবুর তা সুদীপবাবুর দৌলতে এদিন সামনে চলে আসে। এসব শোনার পর মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এক সময় উত্তেজিত হয়ে উঠে বিধায়ককে পাল্টা তোপ দাগতে শুরু করেন।তাকে নিরস্ত করেন পাশে বসা মন্ত্রী।উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধীনে যে সোসাইটি গঠন করা হয়েছে তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক।তিনি বলেন,সোসাইটির কী দরকার। রাজ্য সরকারই তা করতে পারে।যেখানে ৬.২ শতাংশ সুদে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ১৪শ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে।তার ঋণের রাজ্য সরকারকেই বহন করতে হবে।

Dainik Digital

Recent Posts

হার্ভের বিরুদ্ধে ৮ জনে খেলে, এক ম্যাচ আগেই নকআউটে ব্লাডমাউথ।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-হার্ভেকে গত ম্যাচে হারানোর পরই এ গ্রুপ থেকে সমীরণ চক্রবর্তী স্মৃতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের…

8 hours ago

জলের দরে বিকোচ্ছে সবজি, মাথায় হাত কৃষকের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শীতকালীন সবজির মতো দ্রুত দাম পড়ছে গ্রীষ্মকালীন সবজিরও।জলের দরে বিকোচ্ছে নতুন উঠে আসা…

8 hours ago

কৃত্রিম ধাতব হৃদপিণ্ড নিয়ে একশো দিন বেঁচে রেকর্ড সৃষ্টি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিশ্বের প্রথম মানুষ হিসেবে টাইটানিয়াম ধাতুর তৈরি কৃত্রিম হৃদ্যন্ত্র নিয়ে ১০৫ দিন বেঁচে…

8 hours ago

শুদ্ধিকরণ ও রাজনীতি!!

এই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থায় অনিয়ম ও এ গড়মিল নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।স্বৈরাচারী কিংবা…

9 hours ago

মধ্যপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালে আগুন!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের একটি হাসপাতালে রবিবার সকালে অগিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় হতাহতের খবর নেই…

1 day ago

ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী হামলায় ছিন্ন ভিন্ন ৯০ সেনার দেহ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার বেলুচিস্তানে একটি সেনা কনভয়ে হামলা চালানো হয়। বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এই হামলার…

1 day ago