অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে সুশাসন না, বিজেপি সরকারের দৌলতে নির্যাতন চলছে। রাজ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থনে বিজেপি ক্ষমতা দখল করলেও রাজ্যবাসীর স্বার্থে এরা কাজ করছে না। উল্টো নিজেদের আমোদ-প্রমোদ, দেশ-বিদেশ ভ্রমণ, বিজ্ঞাপনের নামে রাজ্যের কোষাগার পর্যন্ত ফাঁকা করে দিচ্ছে জনবিরোধী বিজেপি সরকার। রাজ্যের টাকা দিল্লী, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। তবে ভালো দিক হল, রাজ্যের মানুষ এখন সব বুঝে গিয়েছেন। তাই রাজ্যে বিজেপি সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। আজ ঠিক এভাবেই বিজেপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা।
বিধানসভায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তার অভিযোগ, বিজেপি সরকার সাড়ে ছয় বছর ধরে প্রচার করছে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যকে ঋণগ্রস্ত করে গিয়েছে। অথচ সরকারী তথ্য বলছে, ডবল ইঞ্জিনের বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার জন্য রাজ্য বর্তমানে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের সাগরে ভাসছে। ঋণগ্রস্তের সূচকে বামফ্রন্ট সরকারকেও কয়েকগুণ পিছনে ফেলে দিয়েছে বর্তমান বিজেপি জোট সরকার।যার ফলে রাজ্যে গত সাড়ে ছয় বছর ধরে উন্নয়ন বলতে কিছুই হয়নি। শুধুমাত্র মানুষের ট্যাক্সের টাকায় রাজ্যব্যাপী রাস্তার মোড়ে মোড়ে মন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের ছবি ছাপিয়ে বিজ্ঞাপন বাণিজ্য চলছে। আর এই সুযোগ রাজ্যব্যাপী সরকারের কিছু লোক কোটি কোটি টাকা বানাচ্ছে। তার অভিযোগ, অথচ বিজেপি সরকারের দৌলতে রাজ্যের মানুষের আয়-উপার্জন বন্ধ, নেই পয়সা। আর রাজ্য সরকার সম্পদ কর বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
বিদ্যুৎ মাশুল রাতের অন্ধকারে ৭ শতাংশ বাড়িয়ে দিল। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ক্লাবে ক্লাবে ঘুরছেন। কিন্তু রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে যে হাহাকার চলছে। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ও তার সরকার কর্ণপাত করছেন না। বিজেপি সরকারটি বিজ্ঞাপনের সরকারে পরিণত হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকদিন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। সরকারের কোনও হুঁশ নেই। এরা এবং সরকারের মন্ত্রীরা গোলবাজারে গিয়ে প্রচারে ব্যস্ত। অথচ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, মহকুমা ও ব্লকের পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।কাজ নেই, খাদ্য নেই। অনাহার ও অর্ধাহারের চাপে গ্রাম পাহাড়ের মানুষ রেশন কার্ড পর্যন্ত বন্ধক দিতে বাধ্য হচ্ছে। ক্ষুধার জ্বালায় মা সন্তান সহ আত্মহত্যা করছেন। চলছে সন্তান বিক্রির মতো ঘটনা। রাজ্যে পানীয় জলের জন্য হাহাকার চলছে। তবে মানুষের সমস্যা নিরসনে, সরকার নীরব দর্শক।
অনিমেষ দেববর্মার দাবি, রাজ্য সরকার চাইলে এখনই ৫০ হাজার পদে সরকারী চাকরি দিতে পারে। তবে এ পথে না গিয়ে রাজ্যে সরকারী চাকরির দরজা পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছে বিজেপি সরকার।বেকার, শিক্ষক- কর্মচারী, অনিয়মিত কর্মচারী, সর্বশিক্ষা, এনএইচএম,রেগা কর্মচারী, শ্রমিক, কৃষক, জুমিয়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী সহ রাজ্যবাসীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বিজেপি সরকার।তার অভিযোগ, রাজ্যের উপজাতি জনসমাজকে পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে বিজেপি সরকার বঞ্চিত করছে। এডিসিকে পর্যাপ্ত অর্থ দিচ্ছে না। ভিলেজ কমিটির নির্বাচন পর্যন্ত হচ্ছে না। এদের মুখে উপজাতি দরদের কথা মানায় না। তবে এদের এখন উল্টো দিনের শুরু হয়ে গিয়েছে।তার দাবি ব্যর্থতার পরিসংখ্যানে সর্বশ্রেষ্ঠ বিজেপি সরকার।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বুধবার পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর বড়সড় মহড়া দিতে চলেছে ভারতের বায়ুসেনা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-একদিকে আর্থিক সংকট অপরদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রেকর্ড ফলাফল…
অনলাইন প্রতিনিধি :এবছর কমলপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৩৮০ নম্বর…
অনলাইন প্রতিনিধি :-মাত্র একদিন আগেই রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল…
বিয়ের ছয়দিনের মাথায়, মধুচন্দ্রিমা যাপনে গিয়ে চোখের সামনে জঙ্গিদের বুলেটে স্বামীকে হারানো স্ত্রীর বুকফাটা কান্না…
দৈনিক সংবাদ অনলাইন :-বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রতিদিনে খাদ্য তালিকা খাদ্যের আঁশের ওপর বেশ জোর দেওয়া…