গত ১৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশ জুড়ে পালন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনকে সামনে রেখে একই সাথে দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে ‘ প্রতিঘরে সুশাসন ’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । এই কর্মসূচি চলবে আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন পর্যন্ত । এখন এই প্রতিঘরে সুশাসন কর্মসূচি ঘিরেই জনমনে একদিকে বিভ্রান্তি যেমন তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে এই নিয়ে জোর চর্চাও শুরু হয়েছে । বিভ্রান্তির পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে , প্রতিঘরে সুশাসন বলতে সরকারী ও দলীয় উদ্যোগে যে বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে , তার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে জনগণকে কী বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে ? দ্বিতীয়ত , চর্চার পিছনে মূলত কারণটা হচ্ছে বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনা । বিরোধীদের বক্তব্য ও দাবি হচ্ছে সুশাসন নয় , বিজেপি আমলে দুঃশাসন চলছে । ফলে একদিকে সুশাসন , অন্যদিকে দুঃশাসন নিয়ে বিতর্ক , চর্চা , আলোচনা , সমালোচনা , দাবি পাল্টা দাবি ঘিরে রাজনীতি এখন বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে ।প্রশ্ন হচ্ছে সুশাসন কী ? সুশাসনের ধারণা , সংজ্ঞা ও উপাদান কী ? এই বিষয়গুলি আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার । সুশাসন হলো এক ধরনের শাসন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ক্ষমতার সুষ্ঠু চর্চা হয় । এই শাসন প্রক্রিয়ায় জনগণ স্বাধীনসভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে । সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত থাকে । নারী – পুরুষ স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে । এটি স্বচ্ছতা , জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করে । আরও একটু বিস্তারিতভাবে বললে , সুশাসন হলো এমন এক প্রক্রিয়া যা একটি দেশ বা রাজ্যের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক , সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে । এই শাসন প্রক্রিয়ায় জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায় । জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকারের স্বচ্ছতা – জবাবদিহিতার সঙ্গে নিশ্চিত হয় সামাজিক ন্যায় বিচার ও সামাজিক – সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ । সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো মূল্যবোধ । সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘ গুড গভর্নেন্স ‘ । বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে , সুশাসন হলো এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে , রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয় । সুশাসনের মূল উপাদানই হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা । জবাবদিহিতার মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায় । সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে সহজেই সঠিক তথ্য পাওয়া যায় । স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা পেলে সরকারী অর্থ ব্যয়ে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যায় । সুশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ‘ আইনের শাসন ‘ । এটি একটি রাষ্ট্র ও রাজ্যের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও বৈধ উপকরণ । মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইনের শাসন । , এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে , বর্তমান সামাজিক , রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে সুশাসনের প্রকৃত সংজ্ঞা , উপাদান | সভাপতিযে কতটা কার্যকরী করা হচ্ছে বা পালন করা হচ্ছে ? এর নির্ণয় করবে কে ? অথবা এর মাপকাঠি বিচার করবে কে ? হ্যাঁ , নির্ণয় করবে আম জনতা । বিচার করবে সাধারণ জনগণ । কারণ , সুশাসনই হোক আর দুঃশাসন – জনগণই এর প্রকৃত বেনিফিসিয়ারি । জনগণের ভোটে নির্বচিত সরকার শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুশাসন কায়েম করার দায় কিন্তু সেই নির্বাচিত সরকারের । এই ক্ষেত্রে সরকার কতটা সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে বা পারছে তার বিচার কিন্তু জনগণই করবে । ফলে , যে যতই স্লোগান তুলুক , রঙিন বিজ্ঞাপনের ঝলকানিতে বাস্তবকে আড়াল করার চেষ্টা হলে মানুষই এর জবাব দেবে । তাই সুশাসন না দুঃশাসন ? আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তার উত্তর ও প্রমাণ পাওয়া যাবে ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…