ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
সুশাসন সভায় জনঢল দেখে অভিভূত মুখ্যমন্ত্রী

প্রদেশ বিজেপির সভাপতির পদ নিয়ে প্রথমে ঠান্ডা লড়াই শুরু। দাবিদার ছিলেন দুজনই। একজন প্রফেসর ডা. মানিক সাহা, অন্যজন তদানীন্তন সময়ের বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল। যদিও প্রদেশ বিজেপির সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়ে তখনকার মতো বাজিমাত করেছিলেন প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। এরপরেও তলে তলে ঠান্ডা লড়াই চলছিল সমান্তরালভাবে। অত:পর রাজনীতির ডামাডোলে চলতি বছরেই প্রথমে সাংসদ পরপরই আবার প্রশাসনিক ক্ষমতার মসনদে বসে একেবারে মুখ্যমন্ত্রী বনে যান মানিক সাহা। সেই পর্বেও জলঘোলা কম হয়নি। আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহাকে ভবিষ্যতেরও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আখ্যায়িত করলেন রাজ্য সরকারের দমকল ও কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল।

ঘোষণা দিলেন মানিক সাহার নেতৃত্বেই তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে রাজ্যে পুনরায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। রবিবার আঠারো সূর্যমণিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বাইপাস সংলগ্ন ডুকলি এলাকায় শাসক দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সুশাসন জনসভা। বিজেপির শাসনকালে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা কীভাবে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানো হয়েছে বা হচ্ছে মূলত এ নিয়েই ছিল সুশাসন জনসভা। মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তি সম্পর্কে সচেতন করা এবং সেই অধিকার তার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও যে প্রশাসনের উপরই ন্যাস্ত এ নিয়েই বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।

বলেন, এই সরকারের আমলে মানুষকে রেশন কার্ড, বিপিএল কার্ড, পিআরটিসি, এসসি কিংবা এসটি সার্টিফিকেট পেতে হয়রানির শিকার হতে হয় না। রাজধানী আগরতলাই হোক কিংবা প্রত্যন্তের ভগীরথ পাড়া প্রশাসনিক শিবিরের মাধ্যমে মানুষের দরজায় সেই সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধ পরিকর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপির শাসনকালে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতির যেমন উন্নতি হয়েছে তেমনি সাজা প্রাপ্তির হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকার সাতশ টাকা থেকে ভাতা দুহাজার টাকা করেছে। সরকারী কর্মচারীদের ডিএ পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। টেটের মাধ্যমে তিন হাজার চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি সরকারী বিভিন্ন শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে।

এখন আর কলেজে কলেজে মারদাঙ্গা নেই, ক্লাবে ক্লাবে বোমাবাজি নেই। মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সরকারী কর্মচারীদের এখন আর চাঁদার জুলুমবাজি সইতে হয় না। সব মিলিয়ে রাজ্যে সুশাসন যেমন চলছে তেমনি তা আরও দ্রুত গতিতে তরান্বিত করা হবে। সভাস্থলে জনঢল দেখে অভিভূত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জনঢল প্রমাণ দেয় এলাকার মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল কতটা জনপ্রিয়। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিতভাবে বলে রামপ্রসাদ পাল আঠারো সালের চাইতে আরও বহুগুন বেশি ভোট পেয়ে তেইশের নির্বাচনে জয়লাভ করবেন।

রামপ্রসাদ পালের জনপ্রিয়তা দেখে তিনি নিজেও শিক্ষা নিয়েছেন বলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল তার বক্তব্যে বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা স্বচ্ছতার মাধ্যমে বেনিফিশিয়ারিদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। এজন্য দলবাজিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। সরকারী সুবিধা পাওয়ার জন্য যার ন্যায্য অধিকার রয়েছে তাকেই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এভাবে আগামী দিনেও কাজ করে যাওয়ার অঙ্গিকার করেন কারা ও দমকল মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল ।