সূর্যগ্রহণ দেখতে দিতে হবে, মার্কিন কোর্টের দ্বারস্থ বন্দিরা।।
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেউ তারা বিচারাধীন বন্দি,কেউ সাজাপ্রাপ্ত আসামি।কিন্তু তাতে কী!সকলেই এ দেশের নাগরিক।একটি গণতান্ত্রিক দেশে তাদেরও বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করা এবং সেই মতো ধর্মাচরণ করা তাদের অধিকার।সেই অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হলে, তা হবে ‘অধিকার খর্ব’।বস্তুত, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আমেরিকার একটি আদালতের বন্দিরা।
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ আগামী ৮ তারিখ।সেই গ্রহণ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৮ এপ্রিল সোমবার যে গ্রহণ হবে, তা গত ৫০ বছরে দীর্ঘতম।সূর্যের পূর্ণগ্রাসে বেশ খানিকটা সময়ের জন্য সূর্য পুরোপুরি ঢাকা থাকবে চাঁদের ছায়ায়।সেই সময় চারপাশে নেমে আসবে অন্ধকার। দিনের আলোর গভীরে আকাশের যে তারারা লুকিয়ে থাকে, সেই তারাও দেখা যাবে পূর্ণগ্রাসের কিছুক্ষণ। ভারত থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে না। তবে দেখা যাবে উত্তর আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশে।
এদিকে গ্রহণের দিন বন্ধ থাকবে সংশোধনাগার। সেলের মধ্যেই বন্দি থাকতে হবে কয়েদিদের।সেলের মধ্যে থেকে গ্রহণ দেখার কোনও সুযোগ নেই। আমেরিকার বেশ কয়েকটি জেলের কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশই দেওয়া হয়েছিল।সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েদিদের একাংশ।তাদের দাবি,সূর্য গ্রহণের সময় নিজ নিজ ধর্মাচরণ তাদের অধিকার। বন্দি রেখে সেই অধিকার খর্ব করা যাবে না।
৮ এপ্রিলের সূর্যগ্রহণ ঘিরে আমেরিকার নানা প্রান্তে এখন সাজ সাজ রব।দেশের নানা প্রান্তের মানুষ উত্তর আমেরিকার সেই সব স্থানে এখন থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন যেখান থেকে গ্রহণের দৃশ্য সবথেকে ভাল দেখা যাবে।ভিড় সামাল
দিতে স্থানীয় প্রশাসনও ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। এদিকে নিউ ইয়র্কের সংশোধনী বিভাগ জানিয়েছে,দেড় থেকে তিন-সাড়ে তিন মিনিট পুরোপুরি অন্ধকার থাকবে বেশ কিছু জায়গায়।
তাই ২৩টি জেলে সূর্যগ্রহণের সময় ‘লকডাউন’ জারি থাকবে।সে সময় কয়েদিদের বন্দি থাকতে হবে। সূর্যগ্রহণ দেখা চলবে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে শরণাপন্ন হয়েছেন বন্দিরা। নিউ ইয়র্কের যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে দায়ের করা হয়েছে আবেদন।৬ জন বন্দি সেই আবেদন করেছেন।তাদের ধর্ম ভিন্ন।তাতে বলা হয়েছে, আমেরিকার সংবিধান নাগরিকদের স্বাধীন ভাবে ধর্মাচরণের অধিকার দিয়েছে।
জেলে লকডাউন জারির নির্দেশ সেই অধিকার লঙ্ঘন করছে।আবেদনে আরও বলা হয়েছে, সূর্যগ্রহণ ‘বিরল, প্রাকৃতিক’ ঘটনা।বিভিন্ন ধর্মের কাছে এর বিভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে।এই সময় ‘কেউ প্রার্থনা করেন, কেউ পুজো করেন, কেউ উদ্যাপন করেন’। তাই কারা কর্তৃপক্ষ সেই অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করতে পারেন না।এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও আদালতের কোনও নির্দেশ আসেনি।