সেতুবন্ধনের কাজ করেন টিসিএস’রা -মুখ্যমন্ত্রী!!

 সেতুবন্ধনের কাজ করেন টিসিএস’রা -মুখ্যমন্ত্রী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ২রা ডিসেম্বর থেকে শুরু করে দীর্ঘ প্রায় ছ’মাসের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হলো ২০২৪ ব্যাচের মোট ৩০ জন টিসিএস আধিকারিকের। বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাভবনে ছিলো তাদের সমাপনী অনুষ্ঠান।এই অনুষ্ঠানের সূচনা করে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাগুলি প্রকৃত অর্থে সুবিধাভোগীরা পাচ্ছেন কিনা সেদিক থেকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে আপনাদের। কারণ সরকার এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি আপনাদেরই করতে হবে। জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন নীতি নির্দেশিকা বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনগণের আশা-আকাঙক্ষা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন টিসিএস আধিকারিকরা। কাজেই এদিক থেকে সচেতন থাকতে হবে আপনাদের। সিপার্ড-এর উদ্যোগে এদিন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়া টিসিএস আধিকারিকদের সাথে ফটোসেশনে মিলিত হন।
সনাতনী অনুষ্ঠান থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ্য ও মেধাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের প্রশাসনিক কাজে যুক্ত হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। নবনিযুক্ত মেধাবী আধিকারিকরা রাজ্য প্রশাসনে যুক্ত হওয়ায় প্রশাসনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, নয়া সরকার প্রতিষ্ঠার পর চাকরি প্রদানে স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির উপর লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। মেধার পাশাপাশি পরিশ্রম করলে যে সফলতা আসে, তা এই অনুষ্ঠান থেকেই পরিলক্ষিত হয়। তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর পুরোনো নিয়োগ নীতি বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এখন। আইনশৃঙ্খলা সহ সামগ্রিকভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা সবেতেই এখন গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যে কারণে ত্রিপুরা রাজ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বলে তিনি জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাকরিক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম কৌশল বিকাশ যোজনা, স্কিল ইন্ডিয়ার মতো প্রকল্পের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতার উপরও জোর দিয়েছেন। আরও রয়েছে ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে শৈশব থেকেই দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব আরোপ করা, ২০১৪ সাল থেকে টার্গেটেড এডুকেশন, স্কিল ইন্ডিয়ার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার মতো বিষয়গুলি। ডিজিটাল সাক্ষরতা চালু, বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারেও কাজ করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তার কথায়, রাজ্যে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া জারি রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে শূন্যপদগুলিও পুরণ করা হচ্ছে।
এদিন প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রাজ্যেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। বছরভর রাজ্যের ও বহিঃরাজ্যের বহু প্রশিক্ষণার্থী ত্রিপুরায় এসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ২০০১ সাল থেকে সিপার্ডে এখনও পর্যন্ত ১৯টি টিসিএস ব্যাচে ৫৯৬ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে মোট চারটি ব্যাচে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৩০৭জন টিসিএস আধিকারিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের জন্য স্বচ্ছ প্রশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার অভাব অভিযোগের নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে জেলাশাসকদের সাথে ভার্চুয়ালি বৈঠক করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবনিযুক্ত আধিকারিকদের বিপর্যয় মোকাবিলা প্রশিক্ষণ সহ ভূমি ও রাজস্ব বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রশাসনিক কাজ ত্বরান্বিত করার জন্যও আধিকারিকদের প্রতি আহ্বান রাখেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জেকে সিনহা প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জনকল্যাণে কাজ করে বিকশিত ত্রিপুরা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানান। তিনি গ্রামীণ মানুষের আর্থিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাজ্যের বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে সিপার্ড-এর অধিকর্তা সচিব অপূর্ব রায় টিসিএস আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন সিপার্ড-এর রেজিস্ট্রার ড. সুমিত রায় চৌধুরী।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.