সোনার কমোড চুরি করে স্বীকারোক্তি চোরের!!

 সোনার কমোড চুরি করে স্বীকারোক্তি চোরের!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-একাধিক চুরির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে এমনিতেই সতেরো বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করছেন ৩৯ বছরের জেমস ‘জিমি’ শেন।জেল থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে ব্রিটেনে সাড়া জাগানো একটি চুরির মামলায় নিজেই দোষ স্বীকার করে ততোধিক শোরগোল ফেলে দিয়েছেন জিমি।
গ্রেট ব্রিটেনের অক্সফোর্ডশায়ারের ব্লেনহেইম প্রাসাদ থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহার্ঘ একটি কমোড চুরি হয়েছিল।গোটা কমোডটি ছিল ১৮ ক্যারাটের সোনায় তৈরি।প্রাসাদের কর্তা সেই কমোডটি ব্যবহার করতেন।সেই কমোড তিনিই চুরি করেছিলেন বলে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন জেলবন্দি জিমি।বিচারক জানিয়েছেন, ওই কমোডের বর্তমান বাজারমূল্য ৪৮ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ কোটি ৩৭ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা)।
জিমির নিবাস নর্দাম্পটনশায়ারের ওয়েলিংবরো।তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি (যার মধ্যে একটি ছিল ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে চুরি),অপরাধজনিত সম্পদ হস্তান্তর এবং এ কাজের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগের কথা ইতিপূর্বে স্বীকার করেছেন এই কুখ্যাত তস্কর।এবার স্বীকার করলেন প্রাসাদের সোনার কমোড চুরির কথা।২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অক্সফোর্ডশায়ারের ব্লেনহেইম প্রাসাদে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। প্রাসাদের শোভাবর্ধনকারী এমন একাধিক মূল্যবান সামগ্রী সেই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছিল।সেখানেই ৪৮ লাখি পাউন্ড মূল্যের সোনার ওই টয়লেট দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল।ঘর ভরা নিরাপত্তা রক্ষীদের বেষ্টনী ভেদ করে ওই প্রদর্শনী থেকেই চুরি হয়ে যায় মহার্ঘ কমোডটি।
সম্প্রতি অক্সফোর্ডশায়ারের অক্সফোর্ড ক্রাউন দায়রা আদালতে কমোড চুরির মামলা নিয়ে শুনানি শুরু হয়। সতেরো বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত জিমিকে এইচএমপি ফাইভ ওয়েলসের কারাগার থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই শুনানিতে যুক্ত করা হয়েছিল। এইচএমপি ফাইভ ওয়েলস ব্রিটেনের একটি কারাগার। প্রসঙ্গত, এর আগে ব্রিটেনের নিউমার্কেট এলাকার জাতীয় ঘোড়দৌড়-বিষয়ক জাদুঘর থেকে চার লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ট্রাক্টর এবং অত্যন্ত দামি স্মারক বস্তু চুরি করেছিলেন জিমি।সোনার কমোড – চুরির মামলায় জিমির সঙ্গে জড়িত – রয়েছে আরও তিন অভিযুক্ত।যদিও – বাকিরা তাদের দোষ স্বীকার করেননি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.