সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সক্রিয় ভূমিকা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-
আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়া টিমের ভলান্টিয়ারদের সক্রিয় এবং অগ্রণী ভূমিকা নিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা। শাসকদলের সোশ্যাল মিডিয়া ভলান্টিয়ারদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতেও বলেছেন তিনি।রবিবার আগরতলার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে স্টেট সোশ্যাল মিডিয়া ভলান্টিয়ারদের নিয়ে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতেও আহ্বান রাখেন।তিনি বলেন,মানব সভ্যতার বিবর্তনে প্রস্তর যুগ, ধাতব যুগ অতিক্রম করেছে। এখন চলছে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ।রেডিও, সংবাদপত্র থেকে টেলিভিশন এবং এখন তথ্য সংগ্রহের জন্য মোবাইল ফোন।সভ্যতার ক্রমশ অগ্রগতি হচ্ছে।এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ ভুল তথ্য ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।কার্যকরভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ।আর সেটা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন নোট নেন তখন এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে।এক্ষেত্রে আরও পারদর্শী হতে হবে।তিনি বলেন,আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া ডিজিটাল মাধ্যমের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি প্রচারের জন্য দারুণভাবে কাজ করছেন দলের স্বেচ্ছসেবকগণ।প্রদেশ বিজেপির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ভলান্টিয়ারগণ অংশগ্রহণ করেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,সময়ের সাথে সাথে সভ্যতার অগ্রগতি হচ্ছে। মানব সভ্যতা বিভিন্ন যুগের সাক্ষী হয়েছে।আর এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দাঁড়িয়ে মানুষ।আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মানুষের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া।এটি মত
প্রকাশের অন্যতম একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নমূলক কাজকে মানুষের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে দারুণভাবে কাজ করে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাগণ।মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,সোশ্যাল মিডিয়া ভলান্টিয়ারদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু তৈরি করাও একটি শিল্প।সোশ্যাল মিডিয়াতে মতামত প্রকাশ করাও একটি শিল্প।প্রাথমিকভাবে,বিষয়বস্তু তৈরিতে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।তবে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে কার্যকরভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা গেলে সেটা সকলের উপহারে আসবে।সে সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বা প্রকল্প সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হবে। সভায় যুব মোর্চার রাষ্ট্রীয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনচার্জ কপিল পার্মার,ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব অংশ নেন।