অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা এখন কেতাদুরস্ত শহর।মানে সোজা কথায় স্মার্ট সিটি।এ নিয়ে জোরদার প্রচার চলছে। প্রচারের ফানুস উড়ছে তড়তড় করে।তবে প্রচারের সঙ্গে শহর আগরতলা মোটেও কেতাদূরস্ত, মানে স্মাট হয়নি। রাজ্যের রাজধানী শহরের নাগরিকদের বড় অংশের বক্তব্য অন্তত এমনই। আগরতলায় নিত্য মশার তান্ডব চলছে।চলছে যখন তখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা।হালকা বাতাসেই শহর আগরতলায় বিদ্যুৎ সংযোগ উধাও হয়ে যায়।সন্ধ্যায় নেমে আসে অন্ধকার।তার উপর শহরের বিভিন্ন এলাকায় লাগানো বৈদ্যুতিক বাতি থাকছে নিজস্ব অবস্থায়। অনেক সময় আবার দিনের বেলাতেও জ্বলছে এই বাতি। স্ট্রিট লাইট নামে পরিচিত এই বাতির যেন দেখভালকারী কেউ নেই।ফলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে থাকছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। অন্ধকার রাতে পথচলা দায় হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের। ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। একই সঙ্গে অন্ধকারের সুযোগে বাড়ছে নানা ধরনের অসামাজিক ঘটনা।চোর, ছিনতাইবাজ সহ এই জাতীয় কাজে লিপ্তদের কাছে যেন অন্ধকার অতিরিক্ত সুযোগ করে দিচ্ছে।তারা সহসা নিজেদের কাজ হাসিল করতে পারছে।তাতে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে বহু নাগরিক তথা পরিবারকে।রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলার প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত অংশে এমন ঘটনা ঘটছে প্রায় নিয়মিত। খোদ পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলা থানা এলাকায় গত কয়েক মাসে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।আর এসবের মূলে উল্লেখিত সমস্যা বড় কারণ হিসাবে কাজ করেছে।
শহরের মূল এলাকা হিসাবে পরিচিত অংশের অবস্থা যেমন তেমন।হাওড়া নদীর উত্তর এবং কাটাখালের দক্ষিণ পাড়ের মধ্যবর্তী এলাকায় তবুও রাতের বৈদ্যুতিক বাতি মোটামুটি জ্বলতে দেখা যায়।মোটামুটি বটতলা থেকে মোটরস্ট্যান্ড পর্যন্ত হাওড়া নদী ও কাটাখালের মাঝের অংশের অবস্থা চলনসই।এর বাইরের অংশ থাকা শহরের বহু অংশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাতিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতে সেগুলি জ্বলতে দেখা যায় না। আর শহরের পূর্ব, পশ্চিম এবং উত্তর, দক্ষিণের প্রান্তিক এলাকার কথা কহতব্য নয়। বেশিরভাগ এলাকায় অন্ধকার থাকা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।শহরের অন্যতম বনেদি এলাকা হিসাবে পরিচিত কলেজটিলা, শিবনগরে সম্প্রতি টানা প্রায় পক্ষকাল ধরে বৈদ্যুতিক বাতি নিভে থাকতে দেখা গেছে।
একে তো রাতে প্রয়োজনের বাতি জ্বলছে না।জ্বললেও অন্তত নিয়মিত জ্বলছে না। তার উপর আবার ঘটছে বিদ্যুৎ অপচয়ের ঘটনা।পুর
নাগরিকদের গাঁটের অর্থ খরচ করে এর বিল মেটানো হলেও অপচয় নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। সকাল নয়টা থেকে এগারোটা, সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত জ্বলতে দেখা যায় স্ট্রিট লাইট। তাতে বৈদ্যুতিক বাতির আয়ু কমছে। পাশাপাশি দিনের বেলায় এসব জ্বলার কারণে অতিরিক্ত এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। তার জন্য আবার ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমকে মাশুল মেটাতে হচ্ছে আগরতলা পুর নিগমকে।এই অর্থ আখেরে যাচ্ছে পুর নাগরিকদের কাছ থেকে।
মোট কথায় এভাবে ত্রিমুখী ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মানষকে।ঘটনা হলো শহরে আলোর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পুর নিগমের। পুর নিগমের উদ্যোগে বাল্ব ইত্যাদি লাগানো হয়।এতে বিদ্যুতের সংযোগ দেয় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম।এর ভিত্তিতে বিদ্যৎ নিগমের তরফে পুর নিগমের কাছ থেকে মাশুল আদায় করা হয়।কোথাও স্ট্রিট লাইট না জ্বললে তা কাকে জানাতে হবে সেটা এক বড় সমস্যা সাধারণ মানুষের কাছে। এ নিয়ে পুর নিগমের ওয়ার্ড কার্যালয় সহ অন্যত্র গেলে নাগরিকদের বিদ্যুৎ নিগম কার্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।আবার উল্টোটাও ঘটে।বিদ্যুৎ নিগমে গেলে পুর নিগমকে দেখিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও বিপাকে পড়তে হয় সৎ ও দায়িত্ববোধ সম্পন্ন নাগরিকদের। মর্জিমতো জ্বলা স্ট্রিট লাইট নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নাগরিকদের।
অনলাইন প্রতিনিধি :-শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে রেলসেতু ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-হরিয়ানার পঞ্চকুলার একটি মলের সামনে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী কয়েকজন দুষ্কৃতি পরপর কয়েক রাউন্ড চালায়…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা গ্রহণকারী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিল পেমেন্টের বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরলেন…
অনলাইন প্রতিনিধি :- সম্প্রতি দিল্লি, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর সারপ্রাইজ ভিজিট’ করেন ভারতের অসামরিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাধারঘাট শিল্প তালুকে সিস্টার গুঁড়া মশলার একটি কারখানা ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিলো টিআইডিসি।…
গত ২৬ মে ২০২৫ইং,ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ১১ বছর পূর্ণ করলেন।সেই সাথে ১২ বছরে…