অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঞ্চল্যকর দুর্গাপ্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি হত্যা মামলায় স্পেসাল পিপি নিয়োগে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে মাননীয় উচ্চ আদালত। বুধবার মামলা খারিজের পাশাপাশি উচ্চ আদালত সিজেএম আদালতের রায়টি বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, এয়ারপোর্ট থানাধীন উষাবাজারস্থিত ভারত রত্ন সংঘের তদানীন্তন সম্পাদক দুর্গাপ্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল রাতে আততায়ীদের হাতে খুন হয়। খুনের ঘটনায় পয়লা মে এয়ারপোর্ট থানায় এফআইআর দায়ের হয়। রাজ্য সরকার সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য ২০২৪ সালের ৯ মে তারিখে আইনজীবী শঙ্কর লোধকে মামলার স্পেশাল পিপি হিসাবে নিযুক্তি দেয়। কিন্তু সরকারী এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে আপত্তি জানান রাকেশ বর্মণের স্ত্রী শ্যামশ্রী দেববর্মণ, রাকেশ বর্মণের পক্ষ। দাবি করা হয় ভিকি হত্যা মামলায় রাকেশ বর্মণ নামে একজন অভিযুক্ত অপরাধী রয়েছে। এই রাকেশ বর্মণ এয়ারপোর্ট থানার ভিন্ন একটি মামলায় অভিযুক্ত ছিল। তার পক্ষে আগাম জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন আইনজীবী শঙ্কর লোধ। এয়ারপোর্ট থানায় এই মামলার নম্বর ছিল ২২/২০২৪। তদানীন্তন ভারতীয় দণ্ডবিধির 448/326/427/506/34 ধারায় মামলাটি রুজু হয়েছিল। এই মামলায় রাকেশ বর্মণের পক্ষে আইনজীবী শঙ্কর লোধের আগাম জামিনের আবেদন ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল খারিজ করে দেয় মাননীয় উচ্চ আদালত এবং রাকেশ বর্মণকে সশরীরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেওয়া হয়।
ভিকি হত্যা মামলায় আইনজীবী শঙ্কর লোধের স্পেশাল পিপি হিসাবে নিযুক্তির সরকারী সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক সিজেএম আদালতে দাবি করেন যে, যেহেতু রাকেশ বর্মণ ভিকি হত্যা মামলায় একজন অভিযুক্ত অপরাধী তাই এই মামলায় আইনজীবী শঙ্কর লোধ স্পেশাল পিপি হিসাবে নিযুক্তি পেতে পারেন না। কারণ তিনি রাকেশের পক্ষে অন্য একটি মামলায় নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন। সরকারী সিদ্ধান্তের পক্ষে সিজেএম আদালতে এর বিরুদ্ধে যুক্তি দেখানো হয় যে, ভিকি হত্যা মামলা এবং এয়ারপোর্ট থানার বাইশ নম্বর মামলা সম্পূর্ণ পৃথক। সময়ের নিরিখেও একটি মামলার সঙ্গে অন্যটির কোনও যোগসূত্র নেই। কেননা রাকেশ বর্মণের পক্ষে আইনজীবী শঙ্কর লোধ মাননীয় উচ্চ আদালতে যে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তা ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল তারিখেই খারিজ হয়ে যায়। অন্যদিকে, ভিকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালে ৩০ এপ্রিল রাতে। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবান শুনে মাননীয় সিজেএম আদালত ২০২৪ সালের ১ জুন সরকারী সিদদ্ধন্তের বিরুদ্ধে সম্রাট কর ভৌমিকের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেন। পরবর্তী সময়ে সিজেএম আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। মাননীয় উচ্চ আদালতের চিফ জাস্টিসের বেঞ্চ বুধবার চ্যালেঞ্জের আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে সিজেএম আদালতের রায় বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, এই মামলায় সরকার পক্ষে ছিলেন উচ্চ আদালতের পিপি রাজু দত্ত এবং নিজেকে ডিফেন্স করেন আইনজীবী শঙ্কর লোধ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-আচমকাই আগুন লাগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । সোমবার সন্ধ্যায় আগুন…
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হানার একদিন পরে বৃহস্পতিবার ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবশ্রী মুখার্জি পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-পহেলগাঁও হামলার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার অ্যাকশন মোড অন করেছে । সোমবার কেন্দ্রীয়…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যবাসীর যে স্বপ্ন নিয়ে আশির দশকে গড়ে উঠেছিল রাজ্যের বৃহৎ -মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান…
অনলাইন প্রতিনিধি :-খরিফ মৌসুমে কাঞ্চনপুর মহকুমার বিভিন্ন কৃষি অঞ্চল জুড়ে ভুট্টা উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্মার্ট সিটি আগরতলায় আনস্মার্ট কাজকর্ম বহাল। আগরতলা শহর তথা রাজ্যের একমাত্র উড়াল সেতু…