স্বার্থক হল শুভ্রদীপের স্বপ্ন, আদিত্য সফলভাবে রওনা দিল সূর্যের দিকে।

 স্বার্থক হল শুভ্রদীপের স্বপ্ন, আদিত্য সফলভাবে রওনা দিল সূর্যের দিকে।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- শ্রীহরিকোটা থেকে আবার স্বপ্ন সফল হল আরও এক বাঙালি বিজ্ঞানীর। চাঁদ ছুঁল কলকাতার গড়িয়ার পাঠভবনের প্রাক্তন ছাত্র শুভ্রদীপ ঘোষ। চন্দযান ৩- অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল এই গড়িয়ার বাসিন্দা। ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন শুভ্রদীপ। স্বপ্ন ছিল মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার তবে একদিন যে এইভাবে ভারতের গর্ব হয়ে উঠবেন তা যেন স্বপ্নের মতো তার কাছে। চন্দ্রযান ৩- লঞ্চপ্যাডের রকেটের উৎক্ষেপণ থেকে অরবিটে পৌঁছনো অবধি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। রকেটের লিকুইড প্রোপালশনে ছিলেন তিনি। লিকুইড গ্রাউন্ড সিস্টেমের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখভালের দায়িত্বে ছিল তার।চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন শুভ্রদীপ, সেই বছরই যোগ দিয়েছিলেন ইসরোতে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর অত্যন্ত খুশি এই বিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন, ‘চন্দ্রযান-২ এর পরে সবাই ভেবেছিল যে আমরা আর পারব না। আমাদের তো বাইরে কিছু বলা বারণ থাকে, তাই আমরা সেদিন থেকেই চন্দ্রযান-৩’কে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করা শুরু করে দিয়েছিলাম। প্রচুর টেস্টিং করা প্রচুর বার ব্যর্থ হওয়ার মধ্যে দিয়ে এই সাফল্য এসেছে।’ ছোটবেলা থেকেই আমার অ্যাস্ট্রোনমিতে উৎসাহ ছিল শুভ্রদীপের। কিন্তু মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে যা হয় অ্যাস্ট্রনমি সম্পর্কে সেরকম কেউ ভাবে উৎসাহী ছিল না। তাই শুভ্রদীপের কথায়, “অনেকের ক্ষেত্রেই ইচ্ছেটা ইচ্ছের জায়গাতে থেকে যায়।’ কিন্তু শুভ্রদীপের ইচ্ছে থেমে থাকেনি। আইআইটি গুয়াহাটি থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকত্তোর পাশ করে ইসরোতে যোগ দিয়েছেন শুভ্রদীপ।তিনি বলেছেন, ‘ইসরো আমাকে সুযোগ দেয় স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করার। স্নাতকোত্তর শেষ করে ইসরোতে যোগ দিয়েছিলাম। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩-কে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল শুভ্রদীপেরও কাঁধে। সেই কাজে তিনি এবং তার সহকর্মীরা সফল। শুভ্রদীপ বললেন, ‘প্রথম বার সূর্যের পথে কথা ভাবছিলাম, আর সেই চেষ্টায় সফল হলাম আমরা। সূর্যের পৃষ্ঠে তো নামা সম্ভব নয়। আদিত্য-এল-১ ল্যাগরেঞ্জিয়ান পয়েন্টে একটি জায়গা পর্যন্ত পাঠানো হবে। ওই জায়গায় পৃথিবী এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ থাকে না। ওই জায়গায় আদিত্য-এল-১ পৌঁছে গেলে আজীবন থেকে যেতে পারবে। সেই চেষ্টাই করছে ইসরো।”শুভ্রদীপের মা মুনমুন ঘোষ জানিয়েছেন, ছেলের জন্য তারা অত্যন্ত গর্বিত। চন্দ্রযানের পর আদিত্য এল-১ মিশন নিয়েও অত্যন্ত আশাবাদী পরিবারের প্রত্যেকে। শুভ্রদীপের বোন ইশাপ্রিয়া দাস ‘‘দৈনিক সংবাদ’ কে বললেন, ‘ছোট থেকেই আমার দাদা খুব মেধাবী।বোন হিসেবে আমি গর্বিত বললেও কম হবে। আমি জানতাম একদিন ও অনেক বড় হবে আর ঠিক সেটাই হল। আগামীতে ও যেন মহাকাশের আরো নানান মিশনে জড়িত থাকতে পারে সেই শুভকামনা রইল।’

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.