স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আসছে ৪.১৫ লক্ষ পরিবার: সুশান্ত!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যবাসীর চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার পথকে সুগম করতে বিশেষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।রাজ্যে সরকার চালু করছে ‘চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা’।শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্তর জেলায় নতুন ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরে নতুন জুনিয়র পিআই নিয়োগ সহ ‘চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা’ চালুর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটন পরিবহণ ও খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা (সিএমজেএওয়াই) চালুর বিষয়ে জানান, চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনার মাধ্যমে রোগীদের নগদহীন,কাগজহীন স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা প্রদান করা হবে।এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি পরিবার বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবে।মন্ত্রী জানান, রাজ্যের মোট পরিবারের সাড়ে চার লক্ষ পরিবার বর্তমানে আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতাভুক্ত রয়েছেন। অবশিষ্ট ৪ লক্ষ ১৫ হাজার পরিবার আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতাভুক্ত হতে পারেনি। সেই সমস্ত পরিবারের স্বাস্থ্যবিমা পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আদলে চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।২০২৩-২৪ বাজেট অধিবেশনে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।এরজন্য বাজেটে ৫৯ কোটি টাকার সংস্থানও রাখা হয়েছে।এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের যে স্মার্ট কার্ড প্রদ্যান করা হবে তা পুনর্নবীকরণের প্রয়োজন হবে না।প্রতি বছরের ১ এপ্রিল প্রতিটি যোগ্য পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্নবীকরণ করা হবে।শ্রীচৌধুরী জানান, শ্রম দপ্তরের অধীন দশ হাজার নির্মাণশ্রমিক যারা শ্রম দপ্তরের বিভিন্ন বিমার আওতায় রয়েছেন তারা চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা প্রকল্পের আওতায় আসবেন না।মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার সদস্য/সদস্যা, বিধায়ক সহ সমস্ত স্তরের সরকারী কর্মচারীরাও এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতে পারবেন।এক্ষেত্রে সরকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে গ্রুপ-এ ও বি কর্মচারী যারা মেডিকেল রিইমবার্সমেন্ট পাচ্ছেন তা সারেন্ডার করতে হবে এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মচারী যারা বছরে ছয় হাজার টাকা করে মেডিকেল অ্যালাওন্স পাচ্ছেন তা সারেণ্ডার করতে হবে।এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাজ্য সরকারের বার্ষিক ১০৪ কোটি টাকা “ব্যয় হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী মন্ত্রিসভার অন্যান্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে গিয়ে বলেন, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের জুনিয়র ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টরের শূন্যপদে ২২৬ জন লোক নিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রী জানান, শিলচরের ‘কাছাড় ক্যান্সার হসপিটাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনস্টিটিউট’ উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার অধীন হুরুয়াকান্দি মৌজায় ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমি চেয়েছে।রাজ্য মন্ত্রিসভা ওই সংস্থাকে জমি প্রদানের জন্য নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।