স্বাস্থ্যসেবায় আমূল পরিবর্তনই লক্ষ্য সরকারের ঃ মুখ্যমন্ত্রী।

 স্বাস্থ্যসেবায় আমূল পরিবর্তনই লক্ষ্য সরকারের ঃ মুখ্যমন্ত্রী।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের শরীর ঠিক রাখতে হবে। শুধু শরীর নয় মানসিক ডেভেলপমেন্ট ঠিক রাখা প্রয়োজন। রাজ্য সরকার এর জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।দায়িত্ব অভিভাবকদের উপর বর্তায়। বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর প্রফেসর মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বিলোনীয়া শচীন দেববর্মণ অডিটোরিয়াম হলে ‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৫’ রাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্য দপ্তরের এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিন অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে।এ দিন উদ্বোধক হিসাবে এবং প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শরীর যদি ঠিক না থাকে তাহলে কীভাবে কাজ হবে। আগে শরীর ঠিক এবং সুস্থ রাখা জরুরি। মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার বিষয়টি রাজ্য সরকার রাজ্যের জনগণের কল্যাণে এই কর্মসূচি নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই কর্মসূচি নেওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা পেয়েছে। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির প্রশংসা করে বলেন, করোনার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে জনগণকে রক্ষা করেছেন এবং ভারতবর্ষের উৎপাদিত ভ্যাকসিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তেমনি জি ২০ সম্মেলন বিশ্বের মধ্যে ভারত তার যে আলাদা বিশেষ পরিচিতি এবং বিভিন্ন দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার নজিরও রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা. প্রফেসর মানিক সাহা এ দিন বক্তব্যে বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। বিভিন্ন মহকুমা ও জেলা স্তরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে এমনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন আগরতলায় বিভিন্ন হাসতাপাতালে রোগীর চাপ বা রেফার হওয়ার রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আগরতলা মেডিকেল কলেজে সুপার স্পেশালিটি নয়টি বিভাগে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।ডেন্টাল কলেজ খোলা হয়েছে। নার্সিং কলেজ হয়েছে। বাজেট বরাদ্দে আরও ১০০টি সাব সেন্টার খোলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় রাজ্যের ১৩ লক্ষ কার্ড বিলি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।এ দিন তিনি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।রাজ্যভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৫-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন অধিকর্তা ডা. দিলীপ চাকমা।
কঠোর দলীয় শৃঙ্খলা ও দলীয় কর্মকর্তাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। দলীয় কাজে কোনও বিশৃঙ্খলা, উপদল নিয়ে নীতিহীন কাজ তিনি মেনে নেবেন না। ঋষ্যমুখ ব্লকের মতাই মা মোহিনী কমিউনিটি হলে দলীয় সভায় এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
ডা. মানিক সাহা।মঙ্গলবার বিজেপি ঋষ্যমুখ মণ্ডলের উদ্যোগে মতাই মা মোহিনী কমিউনিটি হলে দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা ভাষণ দিতে গিয়ে যে অবস্থান নিলেন তা তার চেনা রাজনীতির ছন্দ নয়। রাজ্যের প্রশাসক কে এ অঞ্চলে দলীয় কর্মীরা দেখলো এক কঠোর সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। তিনি স্পষ্ট দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন আগে সংগঠন,আগে জনগণ, আগে জনগণের স্বার্থ। এর বাইরে তিনি আর কিছু ভাবেন না। মতাই সভায় দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের যে বার্তা দিলেন তাতে এটা স্পষ্ট তিনি পুরো সংগঠনকে এক নতুন শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করতে চান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দলের নীতি আদর্শের প্রতি প্রত্যেক কার্যকর্তার নিবেদিত প্রাণ হতে হবে। দলীয় কার্যকর তোদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, সংগঠনকে ক্যাডারভিত্তিক করতে হবে। আমাদের বিরোধী দলগুলো সবাই ক্যাডারভিত্তিক। তাদের সাথে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সমস্ত সংগঠন ক্যাডারভিত্তিক হয়ে কাজ করতে হবে। দলীয় সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যের প্রদেশ বিজেপি সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, দক্ষিণ জেলা সভাপতি শঙ্কর রায়, জেলা সম্পাদক দীপায়ন চৌধুরী, সুশঙ্কর ভৌমিক, অশেষ বৈদ্য সহ আরও অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে আত্মসন্তুষ্টির কোনও পরিসর নেই। বিরোধী দলগুলো বসে নেই, এরাও সংগঠনের কাজকর্ম করছে। সামনে লোকসভা ভোট, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি কর্মকর্তাকে দলীয় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী আসন্ন লোকসভার ভোটে ত্রিপুরার দুটি আসন রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়ী করে নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দিতে চান। তাই দলীয় কর্মীদের এখন থেকে ভোটের কাজে নেমে যেতে হবে। মতাই দলীয় কর্মীসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি মানে উন্নয়ন। আমরা সেই দিশাতে সরকারী কাজকর্ম করছি। সরকারী কাজকর্মের বিভিন্ন দিকগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য দলীয় কর্মীদের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় সভায় শেষে বিভিন্ন দল থেকে ১৫৭ পরিবার বিজেপি দলে যোগদান করে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.