স্বাস্থ্যে বৈষম্যমূলক বদলির নির্দেশে চিকিৎসক মহলে ক্ষোভ!!

 স্বাস্থ্যে বৈষম্যমূলক বদলির নির্দেশে চিকিৎসক মহলে ক্ষোভ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে চিকিৎসকদের বৈষম্যমূলক বদলি নীতিতে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অবসরে যাওয়ার আট মাস বাকি আছে, এমন চিকিৎসককেও হোম টাউনে না এনে উল্টো মহকুমায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এমন বৈষম্যমূলক বদলির আদেশে চিকিৎসক মহলে ক্ষোভ ও বিস্ময় তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এর পিছনে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র কাজ করছে।যারা এই ধরনের অন্যায় এবং বৈষম্যমূলক বদলিনীতি কার্যকর করতে রাতদিন কাঠি নেড়ে চলেছেন।
গত ১৯ নভেম্বর ২০২৪ইং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ২৮ জন চিকিৎসকের একটি বদলির অর্ডার জারি করা হয়েছে।তাতে ডা.চন্দন দেববর্মা নামে এক চিকিৎসককে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে ধলাই জেলার কমলপুর বিমল সিনহা মেমোরিয়াল হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।ডা. চন্দন দেববর্মা তেলিয়ামুড়া মহকুমা মেডিকেল অফিসার ছিলেন। তাকে একই পদে কমলপুর বদলি করা হয়েছে।খবর নিয়ে জানা গেছে, ডা. চন্দন দেববর্মা ১৯৯৩ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্তি পান।তার প্রথম পোস্টিং হয় ধলাই জেলার সালেমা হাসপাতালে।সাড়ে তিন বছর সালেমা হাসপাতালে চাকরি করার পর ১৯৯৭ সালে তাকে কমলপুর মহকুমা হাসপাতালে বদলি করা হয়। ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ টানা
সতের বছর তিনি কমলপুর হাসপাতালে কাজ করেন। ২০১৪ সালের শেষদিকে তাকে কমলপুর থেকে আগরতলা গোর্খাবস্তি ডিএইচএসে বদলি করা হয়। এখান থেকে ২০১৮ সালের জুন মাসে ছৈলেংটা হাসপাতালে বদলি করা হয়। আট মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে ছৈলেংটা থেকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে এসডিএমও হিসেবে বদলি করা হয়। পাঁচ বছর তেলিয়ামুড়া থাকার পর এখন আবার তাকে (১৯ নভেম্বর ২০২৪ইং) ধলাই জেলার কমলপুর বিমল সিনহা মেমোরিয়াল হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। আগামী বছরের জুলাই মাসে ডা. চন্দন দেববর্মা অবসরে চলে যাবেন। চাকরি জীবনের আর মাত্র আট মাস অবশিষ্ট আছে।চন্দনবাবু আশা করেছিলেন চাকরি জীবনের বাকি আর কয়েকটি মাস তিনি হোম টাউনের সুবিধাভোগ করতে পারবেন। কিন্তু তার সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে খোদ দপ্তরই। চাকরি জীবনের পঁচানব্বই ভাগ সময় তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন প্রত্যন্ত এবং মহকুমাতে। অবসরের শেষ সময়েও তার ভাগ্যে হোম টাউনের সুযোগ এবং সুবিধা জোটেনি। চন্দনবাবুর বাড়ি আগরতলা আমতলী এলাকায়। তিনি নিজেও দীর্ঘ পনের বছর ধরে ডায়াবেটিক এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এই বৈষম্যমূলক বদলি তালিকা প্রকাশ হতেই চিকিৎসক মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.