স্মাইল প্লিজ’ বিক্রমের ছবি তুলে পাঠালো প্রজ্ঞান
ল্যান্ডার বিক্রমের ছবি তুলে পাঠালো রোভার প্রজ্ঞান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি শেয়ার করেছে ইসরো। ক্যাপশনটিও বেশ মনোমুগ্ধকর – ‘স্মাইল প্লিজ’। – ইসরো জানিয়েছে বুধবার সকালে রোভারে লাগানো নেভিগেশন ক্যামেরা নেভক্যামের সাহায্যে এই ছবি তোলা হয়েছে।ল্যাবরেটরি ফর ইলেক্ট্রো অপটিক্স সিস্টেম এই নেভক্যাম তৈরি করেছে। দুটি নেভক্যাম প্রজ্ঞান রোভারে বসানো আছে। রোভারের মোট ওজন ছাব্বিশ কিলোগ্রাম। লম্বায় এটি তিন ফুট এবং ২.৫ ফুট চওড়া এবং ২.৮ ফুট উঁচু। এর চাকা রয়েছে ছয়টি। চাঁদে চৌদ্দদিন সূর্যালোক। ল্যান্ডার এবং রোভারটিকে এমনভাবে বসানো হয়েছে যাতে চৌদ্দদিন সচল থাকতে পারে। এর পরের চৌদ্দদিন অন্ধকার।তখন এই দুটি যন্ত্রের নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই অনেক হিসাব কষেই ২৩ আগষ্ট অবতরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কারণ ২২ আগষ্ট রাত শেষ হয়েছে। ২৩ আগষ্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ মেরুতে সূর্যালোক থাকবে এর সাহায্যে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার কাজ করবে। ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর প্রমোদ কালজানিয়েছেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তাপমাত্রা মাইনাস ২০০ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে আসে। এত তীব্র ঠাণ্ডায় সেখানে মিশন চালানো সম্ভব নয়। তাই আপাতত চৌদ্দদিন চলবে এই মিশন। ইতিমধ্যেই অনেক তথ্য পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান । রোভার ও ল্যান্ডারে লাগানো সব পেলোডই ঠিকভাবে কাজ করছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে রোভারের ভিতরে রাখা লিবস এখন পর্যন্ত অনেক ধাতু এবং অধাতুর অস্তিত্ব টের পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফেরাস, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, সিলিকন এবং অক্সিজেন । আপাতত হাইড্রোজেনের খোঁজে রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। যার সাহায্যে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলতে পারে।এদিকে সান মিশন আদিত্য -এল ওয়ান সম্পর্কে আপডেট দিতে গিয়ে ইসরো জানিয়েছে বুধবার উৎক্ষেপণ মহড়া এবং রকেটের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা- নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর সকাল এগারোটা বেজে পঞ্চাশ মিনিট নাগাদ এই মিশন উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। পৃথিবী থেকে পনেরো লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে ল্যাগ্রেঞ্জিয়ান পয়েন্টে একটি সোলার অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে সোলার । করোনা, সোলার উইন্ড ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা এই মিশনের লক্ষ্য।