স্রেফ মাঠ সমস্যায় ক্রিকেট এগোতে পারছে না উদয়পুর।

 স্রেফ মাঠ সমস্যায় ক্রিকেট এগোতে পারছে না উদয়পুর।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || এক সময় রাজ্য ক্রিকেটের আঁতুড় ঘর হিসাবে বহুল পরিচিত উদয়পুর।কিন্তু মন্দির শহরে এখন ক্রিকেট খেলার মাঠ বলতে এক কেবিআই-ই। জামজুরি স্কুল মাঠে সব কিছু ব্যবস্থা থাকলেও এখন ওই মাঠে আর নাকি ক্রিকেট সম্ভব নয়।এ অবস্থায় স্রেফ মাঠের জন্য অন্য মহকুমাগুলি থেকে ক্রিকেটে পিছিয়ে পড়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে উদয়পুরের।এ অবস্থায় মহকুমা ক্রিকেট উন্নয়নে মহকুমা ক্রিকেট সংস্থার বর্তমান পরিচালন কমিটি গতকাল এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে। মূলত ক্রিকেট পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়েই বেশি আলোচনা হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে।তবে ঘুরেফিরে সবার মুখে একটাই বিষয় উঠে আসে,তাহলো মাঠ সমস্যা। মহকুমা ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এক কেবিআই ভরসা যে থাকা চলবে না তাও আলোচনায় বারবার উঠে আসে।পরিশেষে সিদ্ধান্ত হয় কাকড়াবনস্থিত কালীকিশোর স্কুল মাঠকে ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত করা।আর এর জন্য মহকুমা ক্রিকেট সংস্থা রাজ্য ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা টিসিএর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।খুব শীঘ্রই উদয়পুর ক্রিকেট সংস্থার কর্মকর্তারা টিসিএর কাছে কাকড়াবনস্থিত কালীকিশোর মাঠকে ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত করার স্কুল আবেদন জানাবে।এদিকে, অনূর্ধ্ব সতেরো স্কুল ক্রিকেট করার পর মহকুমা সিনিয়র ক্লাব ক্রিকেট করার পরিকল্পনায় উদয়পুর ক্রিকেট অ্যাসো।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কেবিআই মাঠের উইকেট।ঠিক হয়েছে, উইকেট সংস্কার করার পরই সিনিয়র ক্রিকেট করতে হবে। চলতি মাসেই নাকি করা হবে সিনিয়র ক্রিকেট।এদিকে, প্র্যাকটিসের জন্যও টার্ফ ও কংক্রিটের উইকেট তৈরি করারও সিদ্ধান্ত হয়।অ্যাস্ট্রো টার্ফ উইকেট করারও পরিকল্পনা নাকি আছে।স্রেফ মাঠের জন্য মন্দির শহরের ক্রিকেট চর্চা এখন হুমকির মুখে। এটা কর্মকর্তারা ভালোই বুঝতে পারছেন। তাই আর সময় নষ্ট নয়। রাজ্য ক্রিকেটে নিজেদের হারানো জমি খুঁজে পেতে কর্মকর্তারা তৎপর। টিসিএর সহযোগিতায় কাকড়াবনস্থিত কালীকিশোর স্কুল মাঠটি পাওয়া গেলে মহকুমার ক্রিকেট চর্চা ও ক্রিকেট উন্নয়ন সম্ভব বলেই মনে করছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।জানা গেছে, আগামী কিছুদিন পর আবার কর্মকর্তারা বৈঠকে বসবেন। এখন টিসিএ কী করে তাই দেখার।

Dainik Digital

Dainik Digital

1 Comment

    Avatar
  • text

Leave a Reply

Your email address will not be published.