হত্যা করা হচ্ছে গণতন্ত্রকে, কমিশনে চিঠি কংগ্রেসের।।

 হত্যা করা হচ্ছে গণতন্ত্রকে, কমিশনে চিঠি কংগ্রেসের।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- ‘বিরোধীদের সুযোগ না দিলে নির্বাচন করিয়ে কী লাভ?’ দেশের নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে এই প্রশ্ন সর্বভারতীয় কংগ্রেস সম্পাদিকার। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীরা যখন ফ্ল্যাক্স- ফেস্টুন কিংবা হোর্ডিং লাগাচ্ছে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে,তখন সেগুলিকেই আবার খুলে ফেলে দিয়ে বিজ্ঞাপন ঝোলাচ্ছে যুব মোর্চা কর্মী সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগে পিসিসি সভাপতি আশিস কুমার সাহা একটি চিঠিও দিলেন দেশের নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে। চিঠিটির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছেও। প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদিকা জারিতা লাইতফ্লাং বলেন, প্রতিটি মানুষেরই ভোটদানের অধিকার রয়েছে।দেশের নির্বাচন কমিশনার বুধবারই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ মহানির্দেশক সহ অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এক বৈঠকে।অথচ এ রাজ্যের পরিস্থিতি বলছে উল্টো কথা। তিনি বলেন,শহর আগরতলার বড়দোয়ালী, ড্রপগেট, যোগেন্দ্রনগর এলাকা সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোট কুড়িটি হোর্ডিং লাগানো হয়। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চা কর্মীরা এগুলিকে খুলে ফেলে দেয়।একই সাথে তারা তাদের নিজস্ব বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে দেয় সেখানে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস সম্পাদিকা বলেন, নির্বাচনের নামে কীভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে তা গোটা দেশবাসীই দেখছে।তার প্রশ্ন, মডেল কোড অব কন্ডাক্ট
কোথায় গিয়ে ঠেকছে তাহলে?হোর্ডিংগুলি খুলে ফেলা ছাড়াও যেভাবে গত
ক’দিন আগে বিরোধীদের পতাকা, ফ্ল্যাক্স-ফেস্টুন খুলে ছিঁড়ে ফেলে দেয় শাসক
দল তাতে ভোটারদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হবে বলেও তিনি মনে করেন।কংগ্রেস সম্পাদিকা আরও বলেন,গত ৩১ মার্চ আমরা হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিই সিইওকে।এমনকী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকেও অবগত করানো হয়।কিন্তু তার জবাব, প্রয়োজন নেই অনুমতির। তিনি বলেন, এখন আবার সেই রিটার্নিং অফিসারই অনুমতির প্রশ্ন তুলছেন। এদিকে,এক নং পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোট প্রার্থী আশিস
কুমার সাহার সমর্থনে রাজধানী আগরতলার রাধানগরে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।এই পথসভা থেকেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সংবিধান রক্ষার্থে প্রাক্তন সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বক্তব্য রাখেন। শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে গোটা দেশজুড়েই শাসক বিজেপি বিরোধীদের কোণঠাসা করার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ আনেন তারা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.