ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
হাঁটুর সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার দাবি করছেন গবেষকরা!

FNF2WY knee with total replacement x-ray image on black background
প্রবীণদের মধ্যে হাঁটুতে ব্যাথা খুবই সাধারণ ব্যাধি । মানুষ যখন বিশ্রাম নেয় বা হাঁটাহাঁটি করে বা দৈনন্দিন কাজকর্ম করে তখন হাঁটুর গাঁটের ব্যাথাকে এনটিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ট্রিটমেন্ট বা এসিএলটি নামে অভিহিত করা হয় । বেশিরভাগ সময়ে বয়স বাড়লে পারিপার্শ্বিক টিস্যু বা কলার গঠন ক্রমাগত ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এই সমস্যা হয় । আবার , দুর্ঘটনার ফলে হাঁটুর গাঁটে কোনও আঘাত অথবা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হাঁটুতে ব্যাথা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার সম্পূর্ণ ইতিহাস , রক্ত পরীক্ষা , এবং কিছু রেডিওলজি পরীক্ষা যেমন এক্স রে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি করে খুব সহজেই হাঁটুর ব্যাথার উৎস নির্ণয় করা সম্ভব । যন্ত্রণার অন্তর্নিহিত সমস্যার সমাধান করে , যেমন যারা খুব স্থুল , তাদের ওজন ঝরিয়ে বা উপসর্গ কমানো , আঘাতের স্থলে বরফ দেওয়া বা বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাঁটুর ব্যাথার চিকিৎসা করা যেতে পারে । হাঁটুর ব্যাথায় চিকিৎসার অন্যান্য বিকল্প যেমন ফিজিওথেরাপি বা আকুপাংচারের পরামর্শও দেওয়া যেতে পারে।কিন্তু সমস্যা হল হাড়ের ভিতরে থাকা যে তরল বা যাকে অস্থি ঝিল্লি বলা হয় সেই অস্থি ঝিল্লি শুকিয়ে গেলেই হাঁটুর সঞ্চালন প্রায় বন্ধ হয়ে যায় । বার্ধক্যকালীন অবস্থায় হাটুর এই সমস্যা প্রায় অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায় । হাঁটুর সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া এখন বিরল । ভার বইতে বইতে ক্লান্ত হাঁটু প্রায়শই যন্ত্রণার মাধ্যমে জানিয়ে দেয় তার অক্ষমতার কথা । এখন প্রায়ই শোনা যায় হাঁটু প্রতিস্থাপনের কথা । হাঁটু না প্রতিস্থাপন করেও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে নতুন পদ্ধতির আবিষ্কার করেছেন ব্রিটেনের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক । এই প্রথম কার্টিলেজের জায়গায় জেল ভিত্তিক বিকল্প তৈরি করেছেন তারা । নভেল হাইড্রোজেলে তৈরি এই কার্টিলেজ প্রাকৃতিক কার্টিলেজের চেয়েও বেশি মজবুত আর যে কোনো দিকে তিন গুণ বেশি মোচড়ানো যায় বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পাতলা সেলুলোজ ফাইবারের তৈরি শিট আর পলিভিনাইল অ্যালকোহল নামক পলিমার দিয়ে হাইড্রোজেল তৈরি করেছেন । প্রাকৃতিক কার্টিলেজ কোলাজেন ফাইবার দিয়ে তৈরি । কৃত্রিম কার্টিলেজে সেলুলোজ কোলাজেন ফাইবারের মতো আচরণ করবে বলে দাবি । পলিভিনাইল অ্যালকোহল মোটা , চ্যাটচ্যাটে জেলের মতো সেলুলোজ ফাইবারের আসল আকৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।