অনলাইন প্রতিনিধি :-অল্প বৃষ্টিতে মহাপ্লাবন রুখতে হাওড়া নদীকে কেন্দ্র করে গুচ্ছ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। সহসাই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এক দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাবে এই মর্মে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। তিনি জানান, হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে আগরতলা শহরের বন্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেন্সিং থেকে চন্দ্রপুরের দেবতাছড়া সেতু পর্যন্ত ৯.৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হাওড়া বাঁধের বন্যা প্রাচীর, সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে হাওড়া নদীর বাঁধের জন্য ড্রাফট কনসেপ্ট পেপার তৈরি করা হয়েছে। বিধায়ক দীপক মজুমদারের আনা ওই দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা জানান, তহবিলের প্রাপ্যতার উপর ২৪৮.০০ কোটি টাকার এই কাজ এপিক স্ট্যান্ডস ফর ইঞ্জিনীয়ারিং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) মোডে
হাতে নেওয়া হবে।মুখ্যমন্ত্রী জানান,এছাড়াও নদীর ড্রেজিং এবং রিজ্যুভেনশনের জন্য মোট ১৪৫.৭১ কোটি টাকার একটি কনসেপ্ট পেপার ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের কাছে আগরতলা স্মার্টসিটি লিমিটেডের সহায়তায় ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঠানো হয়েছে। এর টেকনো ইকোনমিক অ্যাপ্রাইজল এবং টেকনো ইকোনমিক ফিজিবিলিটি স্টাডিজ করা হচ্ছে এবং সম্ভাব্যতা বিবেচনা করে এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে পূর্ত দপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ থেকে হাওড়া নদীর গর্ভে জমাকৃত পলি, স্তূপিকৃত আবর্জনা এবং নদীর চর পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, যা আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে হাওড়া নদীর জলে স্তূপিকৃত নোংরা, আবর্জনা ইত্যাদি ফেলা রোধ করার জন্য সামগ্রিক জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। নদীর জলের স্বাভাবিক প্রবাহ যাতে ব্যাহত না হয় এবং নদীর জলও যাতে দূষিত না হয় সেজন্য এই জনসচেতনতা গড়ে তোলা আবশ্যিক।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে হাওড়া নদীর প্রবাহ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে বৃহত্তর আগরতলা শহরের এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার পানীয় জল ও কৃষিকাজের জলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই নদীর জলের ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
তিনি বলেন, নদীর ধারে কিছু জায়গায় রাস্তা এবং বাঁধ ও নদীর আড়াআড়িভাবে সেতুর স্তম্ভ, জল সংগ্রহের জন্য বালির ব্যাগ ইত্যাদি অবস্থানের জন্য নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ পরিবর্তন হচ্ছে এবং নদীর নাব্যতাও ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া প্রচুর গাছপালা কাটার কারণে বৃষ্টি তথা বন্যার জলে হাওড়া নদীর বিস্তীর্ণ অববাহিকা থেকে মাটি ক্ষয় হয়ে নদী গর্ভে জমা হওয়ার কারণে হাওড়া নদীর নাব্যতা হ্রাস হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।একই সঙ্গে হাওড়া নদীর জলধারণ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে নদীতে পলি জমার কারণে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে নদীগর্ভে আবর্জনার স্তূপীকরণের কারণে, যার জন্য অল্প বৃষ্টিতে মহাপ্লাবনের সৃষ্টি হয়। বিধায়ক দীপক মজুমদার কলিং অ্যাটেনশন নোটিশে বলেন, বন্যার জলপ্লাবন থেকে আগরতলা শহরকে রক্ষা করতে প্রশাসনের উদ্যোগে হাওড়া নদীর পাশে বহু বছর আগে যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, সেই বাঁধের কিছু অংশ আজ বিপজ্জনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে, কোথাও কোথাও ফাটল চিহ্নিত হয়েছে। ফলে, প্রবল বর্ষণের ফলে হাওড়া নদীতে সৃষ্ট অতিরিক্ত জলস্রোত প্রতিরোধের সক্ষমতা ক্রমশ কমে আসছে। বন্যার কবলে পড়ে রাজধানীবাসী আতঙ্কে দিন কাটান। যদি এখন থেকেই জরুরি পদেেক্ষপ না নেওয়া হয়, তবে আগামী বর্ষায় আগরতলা শহর এক সঙ্কটময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজধানীর মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা কাটাখালাও বর্ষাকালে ভয়াবহ আকার ধারনা করে।বিশেষত,খালটির উত্তরদিক সংলগ্ন বিস্তীর্ণ জনবসতিপূর্ণ এলাকা প্রতিবছর বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতার ফলে শুধু বসতভিটা ও অবকাঠামো ক্ষতিই হয় না, জলবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। দক্ষিণ পাশে একটি পুরনো বাঁধ থাকলেও, উত্তর পাশে কোনো কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় সংলগ্ন এলাকাবাসীকে বর্ষার সময়ে প্রায় প্রতি বছরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
অনলাইন প্রতিনিধি :-জয়পুর থেকে চেন্নাই এর পথে যাচ্ছিল স্পাইসজেটের একটি বিমান। বিমানটি যখন মাঝআকাশে তখনই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভূমিকম্পের ভয়াবহ ক্ষত এখনও চাপা পড়েনি। তারই মধ্যে দেশের যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলে বিমান…
রাজনীতিকদের লইয়া, সাংবিধানিক পদাধিকারীদের লইয়া সংবাদ মাধ্যমে কৌতুক, কার্টুন,সমালোচনা কোনও নতুন বিষয় নহে।মহাত্মা গান্ধী কোনদিনই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-লাইনচ্যুত হয়ে গেল কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস। উল্টে গিয়েছে একাধিক এসি কামরা। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যজুড়ে প্রচন্ডগরমের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।শনিবার থেকে আগামী তিনদিনের জন্য রাজ্যজুড়ে প্রচণ্ড…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা পুর নিগমের বর্ধিত এলাকা বিশেষ করে ৪৮, ৪৯, ৫০ এবং ৫১ নম্বর…