হাত দিয়ে ‘হেঁটে’ দড়িতে র তিন বিমান টেনে বিশ্ব রেকর্ড!!

 হাত দিয়ে ‘হেঁটে’ দড়িতে র তিন বিমান টেনে বিশ্ব রেকর্ড!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-অনেক জিমন্যাস্ট-ই শরীর উল্টে, হাতের ভরে ‘হাঁটতে’ পারেন। কিন্তু, তাই বলে হাতের ভরে ‘হেঁটে’, বুকের সঙ্গে দড়ি বেঁধে তিনটি আস্ত বিমানকে টেনে নিয়ে যাওয়া, হয়তো স্বপ্নেও এমন দৃশ্য কল্পনা করা যায় না। অথচ বাস্তবে সেটাই করে দেখালেন ইটালির নাগরিক মাত্তিও পাভোনে।হাতে ভর দিয়ে হেঁটে তিনটি ছোট বিমান টেনে নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন মাত্তিও পাভোনে। সম্প্রতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড পাভোনের কীর্তিকে বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে। ইটালির আসতি এলাকার কাসতেলনুওভো ডন বসকোয় এই রেকর্ড গড়েন তিনি।একসময় রাগবি খেলোয়াড় ছিলেন মাত্তিও। তিনি জানান, বেশ কিছু চোট-আঘাতের কারণে ২৪ বছর বয়সে রাগবি খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। এরপর তিনি ব্যতিক্রমধর্মী খেলাধুলার দিকে বেশি মনোযোগ দেন।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে মাত্তিও বলেন, ‘আমার ইনজুরিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপটি শরীরের পিছনের অংশে।চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, আমি আর কখনো খেলতে পারব না। কিন্তু তারা ভুল বলেছিলেন। আমি সেটাই প্রমাণ করে দেখালাম।’
এই রেকর্ড গড়ার জন্য মাত্তিও ইয়োগা, কার্ডিওসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি জানান, পরবর্তী পর্যায়ে নিজের এই রেকর্ড ভাঙার পরিকল্পনা রয়েছে তার। মাত্তিও বলেন, ‘এ রেকর্ড গড়তে পেরে আমি গর্বিত। তবে চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। আমি নিশ্চিতভাবে চারটি বা তার চেয়ে বেশি বিমান টানতে পারব। যত দ্রুত সম্ভব আমি সেটি করার চেষ্টা করব।’ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, রেকর্ডের চেষ্টা শুরুর আগে হালকা বিমান, যা ৫ হাজার ৬৬৯.৯০ কেজির বেশি না হয়, সে জন্য ওজন করে নিতে হয়েছিল।রেকর্ড গড়ার জন্য তাকে বিমানগুলি ৫ মিটার (১৬.৪০ ফুট) পর্যন্ত টেনে নিতে হয়েছে।
তিনটি বিমান একটির সঙ্গে আরেকটি বেঁধে দেওয়া হয়। প্রথম প্রচেষ্টায় মাত্তিও সব একসঙ্গে সফলভাবে টেনে নিতে সক্ষম হন। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তিনি আরও একটি বিমান যুক্ত করেন।কিন্তু এবার আর নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত যেতে পারেননি তিনি। পাঁচ বছর বয়স থেকেই খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় মাত্তিওর। তিনি প্রথমে কারাতে ও ফুটবল বেছে নেন। পরে ১১ বছর বয়সে রাগবি খেলা শুরু করেন। এর আগে সবচেয়ে ভারী গাড়ি হাতে ভর দিয়ে টেনে নেওয়ার রেকর্ড ছিল তার। সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে টেনে নেওয়ার রেকর্ডও তারই।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.