হামলা, হুজ্জতি, মিথ্যা মামলাঃ থানায় বিক্ষোভ মথা ও কংগ্রেসের

 হামলা, হুজ্জতি, মিথ্যা মামলাঃ থানায় বিক্ষোভ মথা ও কংগ্রেসের
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

তিপ্রা মথা দলের কর্মীদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মোহনপুরের এসডিপিওর নিকট ডেপুটেশন দিল তিপ্ৰা মথা দল । শনিবার লেফুঙ্গার যুবতারা এলাকা থেকে বিশাল সংখ্যক তিপ্রা মথা দলের কর্মীরা মিছিল করে এসে লেম্বুছড়াস্থিত এসডিপিও অফিসের সামনে থামে । সেখান থেকে এক প্রতিনিধি দল এসডিপিওর নিকট ডেপুটেশন দেয় । ডেপুটেশনের প্রতিনিধি দলে থাকা সিমনা তমাকারীর এমডিসি রবীন্দ্র দেববর্মা বলেন , পাহাড়ে আর পদ্মফুল ফুটবে না । তাই গত ২৯ আগষ্ট বিজেপি দলের সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভা ফ্লপ করায় নিজেদের দুর্বলতা চাপা দিতেই তিপ্ৰা মথা দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা করা হয়েছে । উদাহরণ টেনে এমডিসি রবীন্দ্র দেববর্মা বলেন , তিপ্রা মথা দলের ব্লক প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত দেববর্মার নামে একই সময়ে সিমনা লেফুঙ্গা এবং বোধজং নগর থানায় মামলা করা হয়েছে । এমডিসি শ্রী দেববর্মার নামে একই সময়ে সিমনা লেফুঙ্গা এবং বোধজংনগর থানায় মামলা করা হয়েছে ।

এমডিসি শ্রী দেববর্মার প্রশ্ন একই সময়ে তিন জায়গায় এক ব্যক্তি কীভাবে উপস্থিত থাকেন ? বোঝা যাচ্ছে , সবগুলি মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক । তাই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই ডেপুটেশন । ডেপুটেশনকালে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা এবং এমডিসি রুনিয়েল দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা । মোহনপুরের এসডিপিও কমল বিকাশ মজুমদার বলেন , ডেপুটেশন প্রদানকারীদের বলা হয়েছে পুলিশ মামলাগুলির আইনি পথেই সঠিক তদন্ত করবে । সংবাদ প্রতিনিধি খোয়াইয়ের সংযোজন : শনিবার দুপুরে খোয়াই জেলা যুব কংগ্রেস খোয়াই থানা ঘেরাও করল আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে । ওইদিন খোয়াই কংগ্রেস ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সোজা চলে যায় খোয়াই থানায় । পরে তারা খোয়াই থানা ঘেরাও করে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে থাকে । এই বিক্ষোভ মিছিলে ছিলেন রাজ্য যুব কংগ্রেস সভাপতি রাখু দাস , কল্যাণপুরের কংগ্রেস নেতা কার্তিক দেবনাথ , প্রাক্তন জেলা সভাপতি ক্ষিতীশ ভৌমিক , ব্লক সভাপতি যতীন্দ্র গোপ । ঘেরাও কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব অভিযোগ তোলেন রাজ্যে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই । সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও পুলিশ আসামি ধরতে টালবাহানা করছে । উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে সন্ধ্যারাতে খোয়াই থানার অন্তর্গত সোনাতলা বাজার এলাকায় খোয়াই যুব কংগ্রেসের সম্পাদক পাপাই দাস ও তার বাবা তথা কংগ্রেস নেতা চানু দাসকে বেধরক মারধর করে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী । এতে গুরুতর আহত হয় উভয়েই । পরবর্তীতে তাদেরকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয় । এই মারধরের ঘটনায় নামধাম দিয়ে খোয়াই থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্তের পরও আসামিদের এখনও গ্রেপ্তার করেনি খোয়াই থানার পুলিশ । আর এরই প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রাখু দাস বলেন , রাজ্য পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে । থানায় সুস্পষ্ট অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না । যুব কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন , কংগ্রেসকে দুর্বল ভাবলে চলবে না । আজকের দিনে কংগ্রেস রাজ্যে যথেষ্ট শক্তিশালী । তিনি অভিযোগ করেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করলে খোয়াই জেলার যুব কংগ্রেস গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনে নামবে ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.