হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-সময়ের বিবর্তনে এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে জীবনের ও ঐতিহ্যের পরিচিত অনেক পরিমণ্ডল । বদলে যাচ্ছে চেনা সংস্কৃতির চেতনা, বিনোদনের মাধ্যম । মাঠের সবুজ পরিমণ্ডলে খেলাধুলার অভ্যাস বা রেডিও শোনার আবেগ যেমন এখন ব্যাকডেটেড তেমনি যাত্রাপালা বা পুতুলনাচ আজকের প্রজন্মের কাছে অপরিচিত । পৌষ পার্বণে পাড়ায় পাড়ায় সম্মিলিত হরিনাম সংকীর্তন যেমন কোন ভাবে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে তেমনি বিজয়া দশমীর প্রণাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় আজ মুঠোফোনে বন্দী । কিন্তু সবকিছুর পরও চিরায়ত ঐতিহ্য ও চেতনা যেমন হারিয়ে যেতে পারে না তেমনি হারাতে পারে না শিকড়ের সন্ধানে মানুষের যাত্রা । আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই কমলপুর মহকুমা সদর সংলগ্ন ফৌজি পাড়ায় সম্প্রতি চলছে পুতুল নাচের আসর ।
যুগের কিংবদন্তি চাকার টানে ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের পূর্বের এই পুতুল নাচ থেকে শুরু করে, যাত্রাপালা, পথনাটক, মুখ অভিনয়, পালা গান এই ধরনের গ্রামীণ বাংলা কৃষ্টি সংস্কৃতি।
একটু ইচ্ছা করলেই জাগাতে পারি আমাদের অতীতের সেই শিল্প গুলিকে। যা আজকে তরুণ সমাজের বিকাশের কাজ থেকে শুরু করে সুন্দর মন ও দেহ গঠনে সহায়ক হবে।
মঞ্চে পুতুল নাচ দেখতে সুন্দর লাগলেও আমরা জানি না এই কলা কৌশল করতে মঞ্চের পেছনে কিভাবে তা প্রচলিত হচ্ছে। পুতুল নাচ পরিচালনা করতে ৭ থেকে ৮ জন দক্ষ শিল্পীর প্রয়োজন হয়। থিমের উপর ভিত্তি করে পূর্বেই সাজিয়ে ফেলা হয় ১৫ থেকে ২০ খানা পুতুল। সারিবদ্ধভাবে রশিতে সুতাও কাঠি লাগিয়ে দুলিয়ে রাখা হয় পুতুল গুলিকে। মঞ্চের বাক্সের পেছনে দুই থেকে তিনজন এই পুতুল গুলি মিউজিক, লাইটিং এবং একজন সুদক্ষ ডাইরেক্টর যিনি মঞ্চে ডিরেকশন থেকে শুরু করে মিউজিক এবং বিভিন্ন চরিত্রে বিভিন্ন ধরনের সুর এক ব্যক্তি দক্ষতার সাথে করে থাকেন। এদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলেই মন ভরে আনন্দটুকু নিতে পারে।
পুতুল নাচ দেখার জন্য কমলপুর শহরের পাশে বালিগাঁও ফৌজিপাড়া এলাকায় অগণিত শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।