অনলাইন প্রতিনিধি:- শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি, তার পদত্যাগের কোনও দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই- এমন তথ্য ফাঁস করে ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের তোপের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অন্তর্বর্তী সরকারকে চরম বেকায়দায় ফেলার অভিযোগ তুলে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা। ছাত্রনেতারা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে রাষ্ট্রপতির সরকারী বাসভবন বঙ্গভবন ঘেরাও করেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার কারণে ছাত্রনেতারা বঙ্গভবনে ঢুকতে পারেননি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একটি পত্রিকার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনও দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।’ ৫ আগষ্ট ছাত্র আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির
কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তার কাছে শেখ হাসিনার কোনও পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনও প্রমাণ পৌছায়নি। রাষ্ট্রপতির ভাষ্যে, আমি বহুবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যার্থ হয়েছি। হয়তো তার সময় হয়নি।রাষ্ট্রপতির মুখ থেকে এমন কথা শোনার পরপরই সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। সবাই নিশ্চিত হয়ে যায়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। এরপরই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল বের করা হয়। মিছিলকারীরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পর সবাই অন্তর্বর্তী সরকারকে দোষারোপ করতে শুরু করে। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা রাষ্ট্রপতিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে চলে যাওয়ার আলটিমেটাম দেয়। একদল ছাত্র রাষ্ট্রপতির বাসভবন ঘেরাও করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রনেতারা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মিটিং-মিছিল করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কী খেয়ে, কার কথা শুনে, মানসিক অবস্থার কোন পর্যায়ে গিয়ে, এখন মুখ দিয়ে কার চক্রান্ত উচ্চারণ করছেন যে, আপনার কাছে পদত্যাগপত্র নাই?’ রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে ফ্যাসিস্টদের দোসর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি সহ সব ফ্যাসিস্ট দোসরদের একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা যদি বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট ও খুনিদের কোনও উৎপাত লক্ষ্য করি, ছাত্র- জনতা ৫ আগষ্টের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে।’ আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। তিনি কীভাবে রাষ্ট্রপতি পদে আছেন, আমরা জানতে চাই। তিনি দুরকম কথা বলার পরও কীভাবে এতো বড় একটা পদে বসে থাকেন? রাষ্ট্রপতি যতক্ষণ পর্যন্ত তার পদ থেকে পদত্যাগ না করবেন সে পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক বিশাল সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী চান্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি এই শহিদ মিনার থেকে জানানো হয়েছিল। আজও এই শহিদ মিনার থেকেই রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবির ঘোষণা দিচ্ছি। এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করতে হবে। বিএ ত্রী সেলিমা রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রপতি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দো একে অবিলম্বে তার পদ থেকে সরাতে হবে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের মার্কিন মসনদের দখল নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 'বুধবার ফ্লরিডার পাম বিচে বিজয়ী ভাষণে'…
প্রশ্ন বিবিধ।অথচ উত্তর অজানা।কারণ, উত্তরদাতা মৌন।রাজনীতির আঙিনায় 'মৌন' শব্দটি শুনলে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্য দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-যাত্রীবাহী বাস আটক করে এক মহিলা যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, হার ছিনতাই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কয়েকটি মণ্ডল (বিধানসভা)বাদে অধিকাংশ মণ্ডলেই ক্ষমতার দখল নিয়ে শাসকদলে রীতিমতো গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে।গত…
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…