১০,৩২৩ ইস্যুতে নয়া মোড় দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে কমিটি !

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বহু আলোচিত ১০,৩২৩ ইস্যুতে এবার নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এলো। রাজ্য সরকার দেরিতে হলেও যখন ১০,৩২৩ ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকারকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। তখন সেই দায়িত্ব থেকে পিছুটান দিয়েছে কমিটি। আরও স্পষ্টভাবে বললে, দায়িত্ব দেওয়ার পর দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাব সামনে এসেছে বলে খবর। মহাকরণের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে এ সংবাদ জানা গেছে।বহু আলোচিত ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে গত ১১ জানুয়ারী রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর থেকে তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ বি পাল, বরিষ্ঠ আইনজীবী চন্দ্রশেখর সিন্হা এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস অফিসার প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। এই কমিটিকে সর্বতভাবে সহায়তা করার জন্য শিক্ষা দপ্তর থেকে আরও চারজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মচারীকে নিযুক্ত করা হয় । এই কমিটি গঠন করার পর বৈঠকে বসার জন্য যথারীতি আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সূত্রের দাবি, কমিটি নানা অজুহাত তুলে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে। সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে কমিটি এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কোনও লিখিত রিপোর্ট দিতে রাজি নয় বলে খবর।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যিনি ১০,৩২৩ এর মামলা নিয়ে এবং চাকরিচ্যুতদের পক্ষে সাওয়াল করে বিভিন্ন সময় নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন। হাইকোর্টের রায়ের আইনি কীভাবে ওই পুনর্বহাল করা যায়, দিক নির্দেশ করে বিভিন্ন সময় সংবাদমধ্যামে আর্টিক্যাল লিখেছেন। হাইকোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, কীভাবে এবং কোন্ পদ্ধতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনরায় চাকরিতে বহাল করা যায়, তারও দিক নির্দেশ করেছেন। এখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরকারীভাবে তাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন ?এই প্রশ্ন যেমন প্রশাসনের মধ্যেও উঠেছে, তেমনি ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুদের মধ্যেও উঠেছে। কমিটি যদি হাইকোর্টের দেওয়া রায় পর্যালোচনা করে রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তরকে লিখিতভাবে আইনি পরামর্শ এবং সংবিধানে উল্লেখিত আইন মেনে দিক নির্দেশ না করে, তাহলে কিসের উপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকার পুনরায় তাদেরকে চাকরিতে বহাল করবে?এখানেই শেষ নয়, চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা সম্প্রতি যে দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, সেই দাবিও অনৈতিক বলে আইনজ্ঞদের অভিমত। কেননা, ২০১৪ সালে হাইকোর্ট রায় দেওয়ার পর, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে এবং হাই কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সব মামলাই চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ওই সময় কোনও মামলাতেই কিন্তু এই প্রশ্ন বা দাবি উত্থাপন করা হয়নি। শুধু তাই নয়, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই সব মামলাও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ২০১৮ সালে বর্তমান রাজ্য সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট দুই বছর চাকরি করার সুযোগ দিয়েছে এবং ২০২৩-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাদের এককালীন বয়সে ছাড় দিয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা রাজ্য সরকারের যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। সেই সাথে সুপ্রিম কোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, এই ইস্যুতে আর কোনও মামলা বা আবেদন দায়ের করা যাবে না। এখন রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তর যখন খোদ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ বি পালকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে, তখন তিনি এই ব্যাপারে লিখিত কোনও পরামর্শ দিতে রাজি নয় বলে মহাকরণের বিশ্বস্ত সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

Dainik Digital

Recent Posts

ভোক্তাদের পকেট কেটে চিনি, সুজি, ময়দা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিনামূল্যে চিনি, সুজি,ময়দা দেওয়ার নামে সস্তা রাজনীতি করতে গিয়ে লেজেগোবরে হয়েছে বিজেপি…

21 mins ago

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে হার্টের ক্ষতি হয়!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ডায়াবেটিসের রোগী এখন প্রায় ঘরে ঘরেই। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে সহজেই এই রোগ…

28 mins ago

গয়নার ল্যাবে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…

23 hours ago

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…

24 hours ago

কাজের বাজারে মন্দা!!

কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…

1 day ago

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

2 days ago