দ্বাদশ বিধানসভার দ্বাদশ অধিবেশনে শেষ দিনেও ১০,৩২৩ ইস্যুতে বিতর্ক হয়েছে । কিন্তু সেই বিতর্কে ফের একবার নিশানা হতে হলো বিরোধী সদস্যদের । এদিন বিধানসভার শূন্যকালে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারকে কিছু করার দাবি জানান । তিনি বলেন , সরকার যদি চায় তাহলে কি কিছু করতে পারে না ? একশ শতাংশ পারে । শুধু তাই নয় , আজকে ১০,৩২৩ তৈরি হওয়ার পিছনে তৎকালীন বাম সরকারের পাশাপাশি সুদীপবাবুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে । সোমবার বিধানসভায় সুদীপ বাবু তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগও খণ্ডন করার চেষ্টা করেন । তিনি বলেন , আমি তখনও সতর্ক করেছিলাম সরকারকে যে টেট ছাড়া নিও না । এছাড়া আর কিছুই নয় । জবাব দিতে উঠে , শিক্ষামন্ত্রী সুদীপ বাবুকে আকারে ইঙ্গিতে যেমন নিশানা করেন , তেমনি ১০,৩২৩ নিয়ে বর্তমান সরকার কি কি করেছে তাও তুলে ধরেন । আগামী দিনে সরকার কি করতে চায় তাও ব্যাখ্যা করেন । রতন বাবু বলেন , ১০,৩২৩ সংখ্যাটা বলা হলেও , এই সংখ্যা এখন আর নেই । যেটা বড়জোর আট হাজার হবে । এর মধ্যে সবাই জেআরবিটিতে অংশ নিয়েছে । জেআরবিটির ফলাফল এর মধ্যেই বেরোবে । এর পরেও সরকার তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্নভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । এর মধ্যেই রতন বাবুর মুখে উঠে আসে ‘ নতুন বন্ধু’র প্রসঙ্গ । ‘ নতুন বন্ধু ’ কথা শুনেই সুদীপ বাবুর পাশে বসা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী তখন মুচকি হাসছিলেন । তপনবাবু হাসি দেখে শিক্ষামন্ত্রী টিপ্পনি করে বলেন , ‘ হাসবেন না- আপনার জন্যই এই অবস্থা । সে যাই হোক , শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য শুনে বিধানসভার প্রথমার্ধে ১০,৩২৩ ইস্যু শেষ হয়ে যায় । কিন্তু ফের বিতর্ক তৈরি হয় দ্বিতীয়ার্ধ্বে । ১০,৩২৩ শিক্ষকের একাংশের বিধানসভা অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশ জল কামান , কাঁদানে গ্যাস , লাঠিচার্জ করে । বিধানসভার দ্বিতীয়ার্ধ্বে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন , ‘ রাজ্যে হচ্ছেটা কি ? সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে । শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বানচাল করতে শক্তি প্রয়োগ করছে । আজকে যেটা হয়েছে আমি তার নিন্দাই করছি । মুখ্যমন্ত্রী কি শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে পারেন না ? রাজ্যকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ? আমি তো জানতামই না ওরা যে বিধানসভা অভিযান করছে ‘ । বিরোধী নেতার এই বক্তব্যে যেন আগুনে ঘৃতাহুতি হয় । মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহা জবাব দিতে উঠে বলেন , অনেকবার ওদের সাথে কথা বলা হয়েছে । অনেক বোঝানো হয়েছে । একই কথা আর কতবার বলতে হবে ? কী কথা বলবো ? একই কথা তো । তাছাড়া আপনি যেটা বলছেন , বিষয়টা এমন নয় । বিধানসভায়ও এই ইস্যুতে অনেক কথা হয়েছে । এরপরই মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সাহা বিরোধীনেতাকে নিশানা করেন , বলেন আপনি অভিজ্ঞ । কুড়ি বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । আপনি কি করেছিলেন টিএমসিতে আন্দোলন কিভাবে দমন করেছিলেন । এরপর মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী , শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ , বিধায়ক ডা . দিলীপ দাস বিরোধী দল নেতাকে একযোগে চেপে ধরেন । সুশান্ত চৌধুরী বলেন , আপনার জমানায় কয়টি আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছেন ? রতনলাল নাথ বলেন , মনে হয় এই রাজ্যে প্রথম হয়েছে ? ট্রেজারি বেঞ্চের আক্রমণের মুখে শেষে চুপ করে যান বিরোধী নেতা । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , আপিন যখন বলছেন , অবশ্যই শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলবো ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…