শিখ দাঙ্গায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন!!
১১ থেকে তিনদিনের পর্যটন মেলা আগরতলার মেলারমাঠে

পর্যটন পিপাসু মানুষের আনুপাতিক হার ত্রিপুরায় অনেক বেশি। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হতে পারে। বর্তমানে দেশের মধ্যে পর্যটনে আগ্রহী মানুষের অবস্থানের নিরিখে এক নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। তারপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট। এই হিসাবে ত্রিপুরার অবস্থা যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক। পরবর্তী বছর দুয়েকে এই হিসাবে ত্রিপুরার অবস্থান উঠে আসতে পারে আরও উপরে। উল্লিখিত দৃষ্টিকোণের ভিত্তিতে ত্রিপুরা হতে পারে দেশের মধ্যে চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরা পর্যটন ক্ষেত্রের প্রেক্ষিতে যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিমত উঠে এসেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজকদের তরফে আগরতলায় পর্যটন মেলা করার কথা জানানো হয়। বলা হয় ১১ নভেম্বর থেকে শুরু করে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন চলবে এই মেলা। স্থানীয় মেলারমাঠস্থিত এগিয়ে চলো সংঘ মাঠে আয়োজিত পর্যটন মেলায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য অংশ নেবে। ইণ্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ফেয়ার শীর্ষক এই মেলায় মোট ১৮টি স্টল থাকবে। কাগজেপত্রে ভারত আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার কথা বলা হলেও আগরতলায় অনুষ্ঠিত এই মেলায় বিদেশি কোনও সংস্থা এবার অংশ নেবে না। দেশের মধ্যে হিমাচলপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, লে লাদাখ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মতো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিভিন্ন সংস্থা এবারের পর্যটন মেলায় অংশ নেবে। এছাড়া অংশ নেবে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের স্টল। শুক্রবার বেলা ২টায় মেলার সূচনা করা হবে। চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। মেলার বাকি দুদিন ১১ এবং ১২ নভেম্বরও বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বিভিন্ন স্টল। এই মেলার মাধ্যমে ত্রিপুরাকে দেশের অন্যান্য অংশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা যাবে। একইভাবে ত্রিপুরাবাসীর কাছে অন্য রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্র, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ইত্যাদির নানাদিক পরিষ্কার করা যাবে। এভাবে গড়ে তোলা যাবে পর্যটনভিত্তিক এক ধরনের মেলবন্ধন। তাতে আখেরে ত্রিপুরার পর্যটনভিত্তিক অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। দ্য ট্র্যাভেল অন নামের পর্যটন ব্যবস্থাপনা সংস্থার তরফে আয়োজিত হবে উল্লিখিত মেলা। বুধবার সন্ধ্যায় উদ্যোক্তা সংস্থার তরফে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য বলা হয়। জানানো হয়, সারা বিশ্বে পর্যটন শিল্প এখন দ্বিতীয় প্রধান শিল্প হিসাবে পরিচিত। এই শিল্প বিকাশে ভারত সরকার বিশেষ উদ্যোগ করে চলছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে এই বিষয়ে বাড়তি গুরুত্বারোপ করছেন। বিশেষত উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির পর্যটন বিকাশে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। হোম স্টে সহ নানা প্রকল্পের জন্য অর্থ সাহায্য। এই সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতার পুলকেশ সান্যাল ও প্রসেনজিৎ দত্তগুপ্ত এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অমর ঘোষ অংশ নিয়েছেন।