১১ মাসেই মোহভঙ্গ,কংগ্রেসে ফিরলেন বাপ্টু চক্রবর্তী!!

 ১১ মাসেই মোহভঙ্গ,কংগ্রেসে ফিরলেন বাপ্টু চক্রবর্তী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন, আগরতলা।। ত্রিপুরায় তৃনমুল কংগ্রেস দলের আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে শেষমেশ পুরনো কংগ্রেস দলেই ফিরে গেলেন যুবনেতা বাপ্টু চক্রবর্তী। কংগ্রেস দলেই তার রাজনৈতিক হাতে খড়ি। এক সময় রাহুল ব্রিগেডের অন্যতম নেতা হিসাবেও স্হান করে নিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য কংগ্রেসের প্রতি হতাশাগ্রস্থ হয়ে গত বছর কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃনমুল কংগ্রেস দলে। রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ পাল্টে যাওয়ার পর বিজেপি বিরোধী দল হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন তৃনমুল কে। তখন তাঁর মনে হয়েছিল তৃনমুলই একমাত্র দল যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে এবং বিজেপির প্রধান বিরোধী হলো তৃণমূল।

কিন্তু গত ১১ মাসে তাঁর সেই ধারণা ভেঙে গেছে বলে দাবি করেন। তাঁর মতে তৃনমুল আদতে বিজপির বি টিম। এটা বুঝতে পেরেই তিনি শেষে পুরনো কংগ্রেস দলেই ফিরে গেলেন। তাঁর সাথে এদিন আরও বেশ কিছু তৃনমুল কর্মী সমর্থক কংগ্রেস দলে সামিল হয়েছে। তাদের কংগ্রেস দলে বরণ করে নিতে রবিবার পোস্ট অফিস চৌমুহনী কংগ্রেস ভবনের সামনে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, কংগ্রেস নেত্রী জারিতা লাইটফ্লাং,প্রাক্তন বিধায়ক আশিষ কুমার সাহা, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায় সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা।

কিন্তু তাৎপর্য পূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই যোগদান সভায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। তার এই অনুপস্থিতি ঘিরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গতকাল, অর্থাৎ শনিবার রাতে কৈলাসহর নিজ বাসভবনে বসে তিনি আগামী ৮ আগস্ট রাজ্যের তিন জেলায় ২৪ ঘন্টা বনধ আহবান করেন। এই তিন জেলা হলো উত্তর, উনকোটি এবং ধলাই। অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহার সহ একাধিক দাবি নিয়ে তিনি এই বনধ আহবান করেন। তাঁর এই বনধ আহবান ঘিরেও জনমনে ব্যপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলে রাজ্য কংগ্রেসের সেই কঠিন রোগ যেন আবার জেগে উঠেছে। আপাতত প্রকাশ্যে না হলেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন টা স্পষ্ট অনুভব করা যাচ্ছে।

এদিকে, তৃনমুল ছেড়ে বাপ্টু চক্রবর্তী ফের কংগ্রেসে ফিরে আসার পর স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যে তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিয়েও বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। এমনিতেই পার্থ-অর্পিতা এবং পশ্চিম বঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ড প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস ঘরে বাইরে দারুণ ভাবে চাপে ও অস্বস্তিতে পড়েছে। দলের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তায় পড়েছে অনেকে। বাপ্টু চক্রবর্তীর দলত্যাগ সম্পর্কে যদিও এখনো তৃণমূলের ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও একটি মহল থেকে সুবল বাবুও তৃণমূল ছেড়ে যাচ্ছেন বলে খবর চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাপ্টু চক্রবর্তী বলেছেন, ভুল শুধরে নিতেই আবার কংগ্রেসে ফিরেছেন। এটা নতুন কিছু নয়, সব রাজনৈতিক নেতা- নেত্রীরাই এই কথা বলে থাকেন। আগে যা করেছেন সব ভুল! সঠিক কোনটা? সেটা আজ পর্যন্ত জনগন বুঝতে পারলো না। আগামী দিনেও পারবে বলে কোনও গ্যারান্টি নেই।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.