অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে ১২ বছর ধরে সরকারী স্কুলে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ বন্ধ। ফলে রাজ্যের প্রায় দু-হাজার সরকারী স্কুলে পঠনপাঠন লাটে উঠেছে। তবে কেন, রাজ্যে ১২ বছর ধরে সরকারী ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা এবং সহকারী প্রধানশিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ। এ প্রশ্নের কোনও উত্তর শিক্ষা দপ্তরের কাছে নেই।
ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে অন্তিম বারের মতো ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপর টিপিএসসির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়াও সমাপ্ত হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দু-ধাপে প্রায় ১২৭জন সরাসরি নিয়মিত বেতনক্রমে প্রধান শিক্ষকও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি পান। যদিও ওই সময়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বহু বিতর্কও হয়।
অবাক করার বিষয় হলো, ২০১২ সালের আগেও টিপিএসসি-র মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে। তবে ২০১২ সালের পর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এগিকে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে রাজ্যে প্রায় ১০ বছরে প্রধান শিক্ষক পদে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান ও বন্ধ। এর পরিবর্তে প্রায় দু’হাজার স্কুল টিচার্স ইনচার্জ দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এই তথ্যও ২০১৯ সালের। তবে সহজেই অনুমেয় গত ৬ বছরে সরকারী স্কুলগুলির কি করুণ পরিণতি হতে পারে অথচ রাজ্য মহাকরণে বসে প্রত্যেক মাসে শূন্যপদ সৃষ্টির প্রচার হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকারের ৪ হাজার ৬৬০ টি স্কুলের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৫০০ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকলেও শূন্যপদ সৃষ্টি হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমনকী পদোন্নতি প্রধান পর্যন্ত বন্ধ। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যে গত দশ বছরে প্রায় শতাধিক প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী প্রধান ‘শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা অবসরে যান।। তবে এক বছরের মধ্যে এই শূন্যপদ গুলিতে নিয়োগ হল না, তাই সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী এই পদগুলি অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এভাবেই প্রত্যেক প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকরা অবসরে যাচ্ছেন। তবে নিয়োগ বন্ধ। অথচ রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী প্রধান শিক্ষিক, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদের জন্যে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক শিক্ষিকা কোনও অভাব নেই। টিপিএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া হলেই এই পদগুলি পূরণ হয়ে যাবে। এমনকী পদোন্নতি প্রদান হলেও সমস্যার সমাধান হবে। তবে এই পথে যাচ্ছে না সরকার। অন্যদিকে বর্তমানে চিটার্স ইনচার্জের কাঁধে ভর করে চলা স্কুল গুলির ও করুণ অবস্থা। কারণ অধিকাংশ স্কুলে টিচার্স ইনচার্জ অবসরে চলে গিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, এক সময় রাজ্যে টিপিএসসির মাধ্যমে ইনস্পেক্টর অব স্কুল পদেও সরাসরি নিয়োগের প্রথা ছিল। বর্তমানে এই পদেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ। ফলে ইনস্পেক্টর অব স্কুল পদে প্রায় ৮৭ টি শূন্যপদ অবলুপ্তির পথে। ফলে, রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, এবং ইনস্পেক্টর অব স্কুল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের ফলে রাজ্যের সম্পূর্ণ স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা এক প্রকার মুখ থুবড়ে পড়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ৬৭৭ স্কুলের মধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। দক্ষিণ ত্রিপুরায় ৬৫৮ স্কুলের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। খোয়াই জেলার ও ৪৮৮ স্কুলের মধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। ঊনকোটি জেলায় ৩৩২ স্কুলের মধ্যেও প্রায় ১৬ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। সিপাহিজলা জেলার ৫৬৬ টি স্কুলের মধ্যেও প্রায় ১৬ ‘শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। উত্তর ত্রিপুরা জেলার ৪৮৬ স্কুলের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। ধলাই জেলার ৮৭৪ টি স্কুলের মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। গোমতী জেলার ৫৮১ স্কুলের মধ্যেও প্রায় ১৯ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। এটাই শিক্ষার বাস্তব চিত্র।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…