১২ লক্ষ খরচ করে টোকো হয়েছে কুকুর, এবার ১৭ লক্ষ খরচ করে নেকড়ে হলেন তরু।

 ১২ লক্ষ খরচ করে টোকো হয়েছে কুকুর, এবার ১৭ লক্ষ খরচ করে নেকড়ে হলেন তরু।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

জাপানের জনপ্রিয় ইউটিউবার টোকো রীতিমতো ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে নিজেকে সারমেয়তে পরিণত করেছেন। তাকে ওই সারমেয় রূপ দান করতে সাহায্য করেছে জাপানের এক পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা। টোকো অনেক দিন আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, মনুষ্য জীবনের পরিবর্তে কুকুরের জীবনই তিনি যাপন করতে চান। প্রায় ৪০ দিন ধরে বিপুল খরচে একটি ‘কুলি’ প্রজাতির কুকুরের বানানো পোশাক পরে টোকো সারমেয় রূপে ইউটিউবে এসেছেন। সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে মালকিনের সঙ্গে পার্কে বেড়াতেও গিয়েছেন টোকো। গলায় চেন বেঁধে বাধ্য পোষ্যর মতোই আচরণ তার। যদিও গায়ের গন্ধে অবাক অন্যান্য সারমেয়রা। টোকোর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন জাপানের আর এক যুবক তরু উয়েদা। ৩২ বছরের এই জাপানি ভারতীয় মুদ্রায় ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা খরচ করে সেজেছেন নেকড়ে।অবিকল নেকড়ের মতোই দেখতে লাগছে তাকে।টোকোর মতো তরু পেশায় ইউটিউবার নন, তিনি ইঞ্জিনিয়ার।সমাজমাধ্যমে তরু জানিয়েছেন, নেকড়ে সাজার জন্য বিশেষ ধরনের পোশাক বানাতেই তার খরচ হয়েছে জাপানি মুদ্রায় ৩০ লাখ ইয়েন।এমনকী, তরু বলেছেন, টোকোকে কুকুর হতে দেখেই তিনি নেকড়ে হয়ে উঠার বাসনা পোষণ করতে শুরু করেন। তরু উয়েদার ব্যতিক্রমী এই পোশাকের নকশা করেছে জিপেট ওয়ার্কশপ নামের একটি কোম্পানি। এই প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের কস্টিউম বানানোর বেশ খ্যাতি আছে। মূলত তারা বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানে কুশীলবদের জন্য কস্টিউম সরবরাহ করে।তরু উয়েদার জন্য নেকড়ের অবয়ব বানাতে জিপেটের চার কর্মীর সময় লেগেছে সাত সপ্তাহ। তরু বলেছেন, ‘আমি যখন নেকড়ের অবতারের পোশাক পরি, তখন নিজেকে আর মানুষ মনে হয় না।তখন আমি মানুষের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক থেকে মুক্ত হই। আমি কাজ ও অন্যান্য বিষয়ে সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধরনের কষ্ট ভুলে যাই।”তরু জানিয়েছেন, ওই পোশাক পরে যখন তিনি আয়নার সামনে দাঁড়ান, তখন নিজের কাছে তাকে নেকড়েই মনে হয়। তবে তিনি বাস্তবের নেকড়ের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন না। তরু যখন জিপেটকে ওই পোশাক তৈরির অর্ডার দেন, তখন শর্ত হিসেবে সাবলীল ভাবে হাঁটতে পারার কথা বলেছিলেন। তবে তরুর সব ইচ্ছা পূরণ হলেও সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তরু জানান, নেকড়ের সাজের পোশাক পরে তিনি কোনও অনুষ্ঠানে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। কারণ, এটি পরে হাঁটতে গেলে অস্বস্তি লাগে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.