১৩৮ বছর পর বংশে এল কন্যা আনন্দে মাতলেন দম্পতি।

 ১৩৮ বছর পর বংশে এল কন্যা আনন্দে মাতলেন দম্পতি।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দশ নয়,বিশ নয়। ১৩৮ বছর বাদে বংশের মুখ উজ্জ্বল করে ঘরে এল কন্যা সন্তান ৷ দম্পতির আনন্দ আর দেখে কে! নিজেদের বিয়ের দিন তারা যা ধূমধাম করেছিলেন, নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্য তার চেয়েও বেশি সেলিব্রেশনে মেতে উঠলেন।চমকে ওঠার মতো ঘটনা ইনস্টাগ্রামে মার্কিন মুলুকে এখন রীতিমতো ভাইরাল। ওই পোস্টে জানা গিয়েছে, মিশিগানের এক দম্পতি ১৭ মার্চ কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। স্বামীর নাম অ্যান্ড্রু, স্ত্রীর নাম ক্যারোলিন ক্লার্ক। তাদের পরিবারের ইতিহাসে ১৩৮ বছর পর এই প্রথম কোনও কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। তাই দম্পতির মনে আনন্দ যেন আর ধরে না। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছেন তারা। খইয়ের মতো টাকা খরচ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের সেলিব্রেশন চলছে। পাড়া- পড়শিরাও কবজি ডুবিয়ে খাচ্ছেন।ক্যারোলিন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিজার করে আমার মেয়ে হয়। তখন আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলাম। অ্যান্ড্রু এসে যখন আমার কানের কাছে জানাল যে, আমার মেয়ে হয়েছে, নিজের কানকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।’ ক্যারোলিন বলেন,‘আমি বাবা-মাকে খবরটা দিলে তারা তো প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাইছিলেন না।ক্যারোলিন-অ্যান্ড্রুর এটি দ্বিতীয় সন্তান। প্রথম সন্তান যথারীতি পুত্রসন্তান। ক্যারোলিন বলেন, ‘বিয়ের পর প্রথম সন্তান হল ছেলে। এবারও নিশ্চিত ছিলাম, বংশের দীর্ঘ ইতিহাস মেনে ছেলেই হবে। আমি এখনও বিশ্বাসই করতে পারছি না !”ওই দম্পতি তাদের কন্যাসন্তান লাভের খুশিকে স্পেশ্যাল করে তুলতে কোনও খামতি রাখেনি। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে,১৮৮৫ সাল থেকে এই পরিবারে কোনও কন্যাসন্তান জন্ম নেয়নি। দীর্ঘ ১৩৮ বছর দম্পতির কোল আলো করে এসেছে এক ফুটফুটে মেয়ে (সঙ্গের ছবি)।গুড মর্নিং আমেরিকার সঙ্গে কথা বলার সময় দম্পতি বলেন, ‘১৩৮ বছর পর আমাদের পরিবারে প্রথম কন্যাসন্তান হয়েছে। বিয়ের পর আমরা ভেবেছিলাম আমাদেরও পুত্রসন্তান হবে। কিন্তু পরিবারের সেই রীতি আমরা পাল্টে দিয়েছি। ১৭ মার্চ, সেন্ট প্যাট্রিক দিবসে আমাদের একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান হয়। আমরা নিশ্চিত, সন্ত প্যাট্রিক নারী রূপে আমাদের সংসারে এসেছেন। তারা জানান, এত বছর পেরিয়ে কন্যা সন্তান হওয়ায় পরিবারের সকলেই খুব খুশি। দম্পতি আরও বলেছেন, তারা খুব আনন্দিত তাদের কন্যাসন্তান এখন সম্পুর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.