১৪ জুলাই থেকে সপ্তাহব্যাপী খার্চি পুজো ও মেলা : রতন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজন্য স্মৃতিবিজড়িত রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী সপ্তাহব্যাপী খার্চি পুজো ও মেলা আগামী ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে। চিরাচরিত প্রথা ও রীতিনীতি মেনে হাওড়ার পুণ্য স্নানঘাটে দেবতাদের অবগাহনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে খার্চি পুজো। ১৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন খাদ্য, পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।মঙ্গলবার পুরাতন আগরতলা ব্লকে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক রতন চক্রবর্তী।তিনি বলেন, সপ্তাহব্যাপী খার্চি উৎসব সমাপ্তি হবে ২০ জুলাই। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতন লাল নাথ, বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যরা।মেলা ও খার্চি উৎসবকে ঘিরে ইতিমধ্যে জোর প্রস্তুতি চলছে।আগামী ২৭ জুন থেকে শুরু হবে স্টলের কুপন বিলির কাজ। রাজ্যের জাতি জনজাতির মিলনমেলা খার্চি উৎসবকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নানা স্থানে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা।মোতায়েন থাকবে পুলিশ – টিএসআর, স্কাউট অ্যান্ড গাইড ও সাদা পোশাকে পুলিশও। নিরাপত্তাব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবার মেলার থিম হবে সবুজায়ন।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার প্রশ্নে এবার মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের মধ্যে ১৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হবে। বিধায়ক জানান, দুঃস্থ দিব্যাঙ্গদের মধ্যে আর্থিক সাহায্য, কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপনের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলায় থাকবে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, স্বাস্থ্যকর্মী। সাধুসন্তদের জন্য মেলা কমিটির তরফ থেকে ব্যবস্থা করা হবে খাবারের।তিনি বলেন, মেলায় প্রচুর পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। তাই সড়কে যানজট এড়াতেও নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।একটা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ রাখা হবে সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল।সিএনজি স্টেশনে গ্যাস দেওয়াও একটা সময় বন্ধ রাখা হবে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে বসানো হবে ওয়াচ টাওয়ার। ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় গার্ড অব অনারের পর দেবতাদের হাওড়ার পুণ্য স্নানঘাট দর্শনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।তিনি মেলায় আগত সমস্ত পুণ্যার্থী ও ব্যবসায়ীদের মেলা কমিটিকে সাহায্য করার আহ্বান জানান।সপ্তাহব্যাপী খার্চি উৎসবকে ঘিরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক রতন চক্রবর্তী খার্চি উৎসবকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সমস্ত ধরনের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল, সমাজসেবী অমিত নন্দী, অতিরিক্ত বিডিও সুজিত দাস সহ অন্যরা।