১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী র্ম
দৈনিক সংবাদ অনলাইন।। ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা।
সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথম ভাষণ দিলেন দ্রৌপদী।দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নির্বাচিত হওয়া দ্রৌপদী দেশের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। দ্রৌপদী বলেন, ‘সকলের আশীর্বাদে আমি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। আমি প্রগতিশীল একটি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমিই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া প্রথম ব্যক্তি যে ভারতের স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছি। ভারতের নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে আমাদের সকলকে এক সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।’
এদিন শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। সেখানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানান। পরে রামনাথ কোবিন্দ ও দ্রৌপদী মুর্মু একইসঙ্গে সংসদ ভবনে আসেন। এনডিএ জোটের প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী দ্রোপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি পদে শপথের প্রাক্কালে নজর কেড়েছে তাঁর বিশেষ শাড়ি।
দেশের প্রধান হিসেবে শপথের দিনে দ্রৌপদী মুর্মু পরনে চাপিয়েছেন তেরঙ্গা শাড়ি।
১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ুরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাজনীতিতে আসার আগে মুর্মু একজন স্কুল শিক্ষক হিসাবে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন। পরে ওড়িশা সরকারের সেচ ও বিদ্যুত্ বিভাগে জুনিয়র সহকারি আধিকারিক হিসেবে কাজে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন এবং রায়রঙ্গপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি তফসিলি উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০০ এবং ২০০৪ সালে তিনি দুই মেয়াদে ওড়িশা বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন।
তার মধ্যে ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জোট সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। পরে বাণিজ্য ও পরিবহন এবং পরবর্তীকালে মত্স্য ও পশুপালন দফতরের দায়িত্বও পালন করেন। ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন দ্রৌপদী। ২৫ জুলাই ২০২২ইং তিনি বিশ্বের বৃহত্তম গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হলেন। শুধু তাই নয়,ভারতের সর্ব কনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হওয়ার রেকর্ডও তার দখলে গেলো।